অমিত রঞ্জন দে বলেন, “সংস্কৃতিকর্মীরা যেসব জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে, এখন সেসব জায়গাও সংকুচিত করা হয়েছে।”
Published : 01 May 2024, 11:56 PM
শ্রমিক শ্রেণির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে সার্বিকভাবে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে প্রতিবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ।
বুধবার মে দিবসে রায়েরবাজার বধ্যভূমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ বার্তা দেওয়া হয়।
'সংস্কৃতি হোক সমাজ বদলের হাতিয়ার' প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
অমিত রঞ্জন দে বলেন, “সংস্কৃতিকর্মীরা যেসব জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে, এখন সেসব জায়গাও সংকুচিত করা হয়েছে। মে দিবসে মুক্তাঙ্গনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমাবেশ আয়োজন করত, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সেখানে অনুষ্ঠান করত। এখন সেসব জায়গায় অনুষ্ঠান করা যায় না। অন্যান্য জায়াগায়ও অনুমতি ছাড়া অনুষ্ঠান করা যায় না। সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।”
প্রগতি লেখক সংঘের কোষাধ্যক্ষ দীনবন্ধু দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীরা। এরপর দলীয় গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সঙ্গীত বিভাগের শিল্পীরা।
আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদব জাকির হোসেন, বিবর্তন-এর সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লাল্টু, সমাজ চিন্তা ফোরাম-এর সভাপতি কামাল হোসেন বাদল এবং সমাজ অনুশীলন কেন্দ্র-এর সংগঠক রঘু অভিজিৎ রায়।
মফিজুর রহমান লাল্টু বলেন, “সংস্কৃতিকর্মীদের মাঝেও এখন অনেকে দালালি করছে। অনেকে নিজেকে বিকিয়ে দিয়েছে। এজন্যই আমরা সমমনা সংগঠনগুলো মিলে এই 'প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ' নামে প্লাটফর্মটি করেছি। সামাজিক নানা অনাচারের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার আছি।”
সভাপতির বক্তব্যে দীনবন্ধু দাস বলেন, “সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে সমাজ বদলের যে লড়াই, সেই লড়াইয়ে সবাইকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাই। সকল অনাচারের বিরুদ্ধে আসুন প্রতিবাদী হই, সোচ্চার হই।”
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে গণসঙ্গীত পরিবেশন করে বিবর্তন, গীতিআলেখ্য পরিবেশন করে প্রগতি লেখক সংঘ এবং নাটক ‘ঝাঁজ’ পরিবেশন করে উদীচী কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগ। এছাড়া, গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন এইচকে দেবনাথ, মীর সাখাওয়াত হোসেন, সুস্মিতা কীর্তনিয়া এবং অভিজিৎ পাল।
অনুষ্ঠানের আয়োজক সংগঠনের মধ্যে ছিল- বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, গণসংস্কৃতি কেন্দ্র, সংহতি সংস্কৃতি সংসদ, সমাজ অনুশীলন কেন্দ্র, বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন, রাজু বিতর্ক অঙ্গণ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ভাগ্যকুল পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ, প্রগতি লেখক সংঘ, গণসংস্কৃতি পরিষদ, স্বদেশ চিন্তা সঙ্ঘ, বাংলাদেশ থিয়েটার, তীরন্দাজ, রণেশ দাশগুপ্ত চলচ্চিত্র সংসদ, এই বাংলায়, ঢাকা ড্রামা, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ, বিবর্তন নাট্যগোষ্ঠী-সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশন, ধাবমান সাহিত্য আন্দোলন, থিয়েটার'৫২, সমাজতান্ত্রিক বুদ্ধিজীবী সংঘ, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পরিষদ, শহীদ আসাদ পরিষদ, মাদল, বটতলা- এ পারফরমেন্স স্পেস, সমাজ চিন্তা ফোরাম, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।