এবার আর ছোটোখাটো অনুষ্ঠান নয়, ধুমধাম করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারলেন হলিউডের তারকা জুটি জেনিফার লোপেজ এবং বেন অ্যাফ্লেক।
এর মধ্য দিয়ে ১৭ বছর আগে তাদের ভেঙে যাওয়া বাগদান রূপ নিল বিয়েতে। এ দম্পতির প্রেমকাহিনী যেন কোনো রোমান্টিক সিনেমারই গল্প।
পিংকভিলা জানিয়েছে, শনিবার জর্জিয়ায় ৮৭ একরের এক বিশাল এস্টেটে সেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরাও উপস্থিত ছিলেন এ আয়োজনে।
এর আগে গত জুলাইয়ে লাস ভোগাসে ছোট পরিসরে বিয়ের কাজটি সেরেছিলেন এ তারকা জুটি। সে সময় বিয়ের খবর তারা প্রকাশ করেছিলেন শুধু বিবৃতিতে দিয়ে।
লোপেজ সে সময় বলেছিলেন, “অবশেষে আমরা পারলাম। প্রেম সুন্দর। প্রেম মহৎ, আর দেখলাম প্রেমে ধৈর্যও চাই। আমাদের বিশ বছরের ধৈর্যের ফসল।”
শনিবার বিয়ের অনুষ্ঠানে বধূ লোপেজের পরেন ছিল সাদা গাউন। অতিথিরাও সবাই এসেছিলেন শ্বেতশুভ্র বসনে।
জেনিফার লোপেজ এবং বেন অ্যাফ্লেকের পুনর্মিলনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল গত কিছুদিন ধরেই। গত জুলাই মাসে নিজের ৫২তম জন্মবার্ষিকীতে তা প্রকাশ্যে আনেন লোপেজ।
দুজনের চুম্বনের একটি ছবি তিনি পোস্ট করলে ‘বেনিফারের’ জোড়া লাগার খবর চাউর হয় গণমাধ্যমে।
অস্কারজয়ী চিত্রনাট্যকার-অভিনেতা বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে ২০০২ সালে গিগলি সিনেমার শুটিংয়ে জেনিফার লোপেজের প্রথম দেখা, যিনি জে লো নামেই পরিচিত।
পরের বছর বাগদান সারলেও তখন আর বিয়ে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি তারা। সেই সম্পর্ক ভেঙে যায় মাত্র এক বছরের মধ্যে।
এরপর অ্যাফ্লেক বিয়ে করেন অভিনেত্রী জেনিফার গার্নারকে। এই জেনিফারের ঘরে তার তিনটি সন্তানও রয়েছে।
২০১৫ সালে গার্নারের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যান অ্যাফ্লেক। দুই বছর পর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দাম্পত্যে ইতি টানেন।
অন্যদিকে জেনিফার বিয়ে করেছেন তিনবার। ১৯৯৭ সালে কিউবান লেখন ওয়ানি নোয়ার সঙ্গে তার প্রথম বিয়ে এক বছর টিকেছিল। ২০০১ সালে অভিনেতা ক্রিস জুডের সঙ্গে তার বিয়ে টিকে ছিল দুই বছর।
এরপর কিছু দিন বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে কাটিয়ে ২০০৪ সালে জে লো গাটছড়া বাঁধেন গায়ক-অভিনেতা মার্ক অ্যান্থনির সঙ্গে। দুই সন্তানের বাবা-মা হওয়ার পর ১০ বছর বাদে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়।
তৃতীয় বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর ২০১৭ সালে বেসবল খেলোয়াড় অ্যালেক্স রড্রিগেজের সঙ্গে ‘লিভ ইনে’ ছিলেন জেনিফার লোপেজ। চতুর্থবার তিনি জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিলেন প্রথম বাগদানের সঙ্গীকেই।