“এ খাতে ৩ লাখ কর্মী তৈরির পাশাপাশি ৫০ হাজারেরও বেশি উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশাদারের কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব,” বলেন বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রাশেদ আল-জায়েদ।
Published : 29 Nov 2024, 12:03 AM
তরুণদের চাহিদা আর ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশে ডিজিটাল কনটেন্টে বছরে ৩০০ কোটি ডলারের বাজার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ সৈয়দ রাশেদ আল-জায়েদ।
তিনি বলছেন, এই খাতে ৩ লাখ কর্মী তৈরির পাশাপাশি ৫০ হাজারেরও বেশি উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশাদারের কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব।
বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ ও কোরিয়ার সহায়তায় ‘পোস্ট প্রো ট্যালেন্টল্যাব’ এর উদ্যোগে নির্মিত তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বিশ্ব ব্যাংকের ‘হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট গ্লোবাল প্র্যাকটিস’ এর ঢাকা অফিসের এই কর্মকর্তা।
ঢাকার মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারে বৃহস্পতিবার ওই প্রদর্শনী হয়।
পোস্ট প্রো ট্যালেন্টল্যাব একটি প্রকল্পে ছয় মাস ধরে ২৪ তরুণকে হাতে-কলমে চলচ্চিত্র নির্মাণের দক্ষতা অর্জনে সম্পাদনা, সাউন্ড ও কালার গ্রেডিংয়ের মত বিষয়গুলো শিখিয়েছে। পোস্ট প্রোডাকশনে তাদের দক্ষ করে তোলা হয়েছে।
অর্জিত অভিজ্ঞতা আর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এ তরুণরা ‘দ্য গ্রেট এসকেপ’, ‘এ ফ্লাওয়ার ইন দ্য ডেজার্ট’ এবং ‘ক্যান ইউ হেয়ার মি’ নামে তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার সেগুলোই এসকেএস টাওয়ারের সিনেপ্লেক্সে দেখানো হয়।
২৪ তরুণকে সম্পাদনা ও পোস্ট প্রোডাকশনে স্টিভ এম চৌ, শব্দকৌশল নিয়ে হান মিউয়াং-হুয়ান এবং কালার গ্রেডিং নিয়ে সিঙ্গাপুরের চলচ্চিত্র নির্মাতা ছাই ইয়ে উই কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। প্রশিক্ষণ পরিচালনাকারীরা নেটফ্লিক্স, ডিজনিপ্লাসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রকৌশলের কাজে যুক্ত রয়েছেন।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সৃজনশীল অর্থনীতিতে বৈশ্বিক প্রতিযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা, কর্মসংস্থান তৈরি ও সবুজ শিল্পে বিনিয়োগ, অর্থায়ন ও উন্নয়নে অনুপ্রেরণা দেওয়ার কথা জানান রাশেদ আল-জায়েদ।