জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব ‘মূল্যায়নে’ অর্থমন্ত্রী

ডলারের বাজার অস্থিতিশীল করতে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মুস্তফা কামাল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2022, 04:09 PM
Updated : 10 August 2022, 04:09 PM

জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর কারণে জনজীবনে এর কতটা প্রভাব পড়ছে তা মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সরকার শনিবার থেকে চার ধরনের জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ালে দেশজুড়ে আলোচনা ও সমালোচনা তৈরি হয়।

নতুন দরে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে করা হয় প্রতি লিটার ১১৪ টাকা। পেট্রোলের দাম ৫১ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে প্রতি লিটারের দাম হয়েছে ১৩০ টাকা। অকটেনের দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্রতি লিটার কিনতে গুণতে হচ্ছে ১৩৫ টাকা।

দেশে একধাপে জ্বালানি তেলের এতটা বাড়ানোর ঘটনা এটাই প্রথম। বর্ধিত এ দামের প্রভাব জনজীবনের সর্বত্র পড়বে বলে তা প্রত্যাহারে আহ্বানের পাশাপাশি বিক্ষোভও হয়েছে।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে তার প্রভাব সবক্ষেত্রেই পড়ে, ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। তবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে জনজীবনে কী প্রভাব পড়ছে তা মূল্যায়ন করা হচ্ছে। মূল্যায়ন শেষে সরকারের শীর্ষ পর্যায়সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

“সরকার জনগণের সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতেও করবে। বিশেষ করে দরিদ্র, সীমিত আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।”

আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণেই দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলে দেশেও কমানো হতে পারে। এমনকি পাশ্ববর্তী দেশ ভারত যেভাবে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করে সে রকমভাবে বাংলাদেশেও নির্ধারণ করা হতে পারে।”

ডলারের দামে অস্থিরতার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “সব দেশেই ডলারের দর বেড়েছে। যারা যুদ্ধ করছে তারাও ডলারের উচ্চ দরে ভুগছে, আর যারা যুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছে তারাও ভুগছে। এরমধ্য দিয়ে ডলারের দামে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।”

সম্প্রতি দেশের বাজারে ডলারের বিনিময় হার অস্থিতিশীল করার পেছনে যাদের ভূমিকা রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে ধরা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, “সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক যে ছয়টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওই ব্যাংকগুলো নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি ডলার নিজেদের কাছে রেখে অনৈতিক ব্যবসা করছিল। এ ধরনের আরও পদক্ষেপ প্রয়োজনে নেওয়া হবে।”