প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের জন্য নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ দ্রুত ছাড় করা প্রয়োজন।
Published : 04 Dec 2023, 08:16 PM
পরিবেশবান্ধব জ্বালানির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আগামী আট বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ৪৫ হাজার সৌর সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে বাংলাদেশের সৌর সেচ প্রকল্প নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এই খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের কৃষি কাজে সৌরশক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজেল চালিত সেচ পাম্পগুলো সৌর সেচ পাম্প দিয়ে প্রতিস্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০৩১ সালের মধ্যে ৪৫০০০টি সৌর সেচ পাম্প ইনস্টল করতে এক দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।
বাংলাদেশের নবায়ণযোগ্য জ্বালানি পরিকল্পনায় সৌর মিনি-গ্রিড, ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ, সৌর পানীয় জলের ব্যবস্থা, সোলার রুফটপ ইনস্টলেশন, সোলার এগ্রো পিভি, সৌর সেচ, বায়ু বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের জন্য নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ দ্রুত ছাড় করা প্রয়োজন।
আগের দিন দুবাইতে আরেকটি অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ও সৌরবিদ্যুতের প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬১ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইডের সমতুল্য গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃর্গমন কমাতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দুবাইতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনের কপ-২৮ এর সাইডলাইনে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স (আইএসএ) ও ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েল এনার্জি অ্যাজেন্সি ও বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী।
আইএসএ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, “গত বছর আমাদের জ্বালানি মিক্সে ৩০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ সংযুক্ত হয়েছে। ৩৭টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২৪০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া ৫০০০ মেগাওয়াট নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে এবং আরো ৫০০০ মেগাওয়াট অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, জমির সীমাবদ্ধতা থাকলেও ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ, সোলার হোম সিস্টেম, মিনি গ্রিড, সৌর সেচ এবং সোলার রুফটপের মাধ্যমে বাংলাদেশ সৌর প্রযুক্তিতে উদ্ভাবনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।