তিন মাসে শিল্পের উৎপাদন বাড়ে ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ, যা এর আগের অর্থবছরে ছিল ১০ দশমিক ১৬ শতাংশ।
Published : 28 Oct 2024, 08:13 PM
শিল্প উৎপাদনের প্রবৃদ্ধিতে ভাটার জেরে বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে এপ্রিলে থেকে জুন মাসে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি প্রায় অর্ধেকে নেমে আসার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
এই তিন মাসে প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপ্রিল-জুনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ছয় দশমিক ৮৮ শতাংশ।
সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, আলোচ্য তিন মাসে শিল্পের উৎপাদন বাড়ে ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ, যা এর আগের অর্থবছরে ছিল ১০ দশমিক ১৬ শতাংশ।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এই সময়ে কৃষি উৎপাদন ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধিও কমে। এটি অবশ্য সাময়িক হিসাব। চূড়ান্ত হিসাবে কিছু হেরফের হতে পারে।
দুই মাস আগে প্রকাশিত পুরো অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তার আগের বছরের তুলনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। আগের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
কৃষি খাতেও আলোচ্য সময়ে প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ০ দশমিক ১৬ শতাংশ কমে হয়েছে ৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
তবে প্রবৃদ্ধির হার এই সময়ে বাড়ে সেবা খাতে। এ খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ; ২০২৩-২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেকর্ড ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। এরপর আসে মহামারী। তাতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি নেমে যায় ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশে।
পরের দুই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার আবার বাড়ে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য সরকার বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরেছিল ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। কিন্তু ইউক্রেইন যুদ্ধসহ নানা কারণে বিশ্ব অর্থনীতির দুর্দশার প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার উপায় ছিল না বাংলাদেশেরও।
প্রাথমিক হিসেবে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ জিডিপি অর্জিত হওয়ার ধারণা দেওয়া হলেও চূড়ান্ত হিসাবে তা ছয় শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছিল।