আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর ২২ দিন সারাদেশে এই মাছ শিকার বন্ধ থাকবে।
Published : 15 Sep 2022, 06:55 PM
প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষায় বরাবরের মতো এবছরই আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর ২২ দিন সারাদেশে এই মাছ শিকার বন্ধ থাকবে।
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, কেনা-বেচা, মজুদ ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকার ভিজিএফের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেবে।
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ সাগরের মাছ হলেও ডিম ছাড়ার আগে মিঠা পানিতে আসে। তাই প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষণে সাময়িক সময়ের জন্য শিকার নিষিদ্ধ রাখছে সরকার।
এর ফলে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশেই উৎপাদন বেড়েছে। গত এক দশকে ইলিশ উৎপাদন ৮৩ শতাংশ বেড়ে সাড়ে ৬ লাখ টন ছাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় নির্ধারণ এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভা হয়।
সভায় সভাপতিত্বকারী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ৭ থেকে ২২ অক্টোবর ইলিশ শিকার বন্ধের নির্দেশনা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেন।
তিনি বলেন, “নিষিদ্ধ সময়ে যারা মাছ ধরতে নামে, তারা সবাই মৎস্যজীবী নয়। তাদের নেপথ্যে অনেক ধনী ব্যক্তি থাকে, ক্ষমতাবান ব্যক্তি থাকে। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অতীতের মতো এবারও এসব অসাধু ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হবে না।”
এবার দিনে অভিযানের পাশাপাশি রাতেও অভিযান জোরদার করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, অবৈধ পথে ইলিশ পাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় ৫ লাখ মানুষ ইলিশ আহরণে সরাসরি যুক্ত। উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পটি দেশের ২৯ জেলার ১৩৪টি উপকূলীয় উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
রেজাউল বলেন, মাছ ধরা বন্ধকালে যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধিত জেলেদের নানাভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। জেলেদের জন্য নানাভাবে রাষ্ট্র সহায়তা করছে।
তিনি বলেন, ইলিশ সম্পৃক্ত জেলা-উপজেলায় নদীতে ড্রেজিং বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের মাধ্যমে ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে যা যা করা দরকার, তা করতে হবে।