শেভরন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, “গত ২৮ বছর ধরে আমরা পেট্রোবাংলার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। এখন আমরা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়েও চিন্তা ভাবনা করছি।”
Published : 18 Feb 2024, 07:21 PM
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শনে এসে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে বঙ্গোপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহের কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আরেক কোম্পানি এক্সন মবিল।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “আজকে শেভরন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারলাম তারা অফশোরে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য খুবই উদগ্রীব। ইতোমধ্যে তারা অফশোরে সার্ভে ডেটা কিনেছে। তারা গ্যাস কূপ খনন করার জন্য বিডিং করতে চায়।
“শেভরনের আবেদন হচ্ছে যেহেতু ‘আমরা দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের গ্যাস সেক্টরের সঙ্গে আছি, আমরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সঙ্গে থাকতে চাই। অনশোর ও অফশোরে আরো গ্যাস এক্সপ্লোরেশনের সঙ্গে থাকতে চাই’।”
চলতি বছরেই বাংলাদেশ অফশোর বিডিংয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
শেভরন যেভাবে বুস্টার বসাচ্ছে তাতে নতুন সম্ভাবনার দিক উন্মোচন হচ্ছে জানিয়ে নসরুল বলেন, “শেভরন বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান। তারা সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করে আমাদের গ্যাসক্ষেত্রগুলো পরিচালনা করছে।”
এ সময় শেভরন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, “গত ২৮ বছর ধরে আমরা পেট্রোবাংলার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। এখন আমরা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়েও চিন্তা ভাবনা করছি।
“এখানে আমাদের জনশক্তির ৯৭ শতাংশই বাংলাদেশি। তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা অফশোর ড্রিলিং নিয়েও ভাবছি, সিসমিক ডেটা সংগ্রহ করেছি।”
এদিন বিবিয়ানায় একটি অপটিমাইজেশন প্রজেক্ট উদ্বোধন করেন করেন প্রতিমন্ত্রী। এই প্রকল্পে একটি টারবো এক্সপেন্ডার ও বুস্টার কম্প্রেসার রয়েছে। এই দুটো ইউনিট স্থাপনের ফলে গ্যাস উত্তোলন হ্রাসের প্রবণতা থামবে এবং কনডেনসেট উৎপাদনের পরিমাণ বাড়বে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এক সময় এই বিবিয়ানা থেকে দৈনিক প্রায় ১৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমরা পেয়েছিলাম। এখন সেটা কমে গিয়ে দৈনিক প্রায় ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়াবে।”
বুস্টার কম্প্রেসার স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “২০২৬ ও ২৭ সালের দিকে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন আবার ১৪০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হবে।
“সম্ভাবনার আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে ২০২৭ সালের পরে কমে যাওয়া গ্যাস আমরা আবার বাড়াতে পারব। ২০৩০-৩১ সালের দিকে গ্যাসের সরবরাহ আবার ১৪০০ মিলিয়ন ঘনফুটের দিকে যাবে।”
বাংলাদেশে শেভরন প্রায় চার বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। দেশীয় গ্যাসের ৬০ শতাংশই যোগান দিচ্ছে তারা।
সিলেটে জালালাবাদ, মৌলভীবাজার ও বিবিয়ানার ৩৫টি কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ করছে তারা। বিবিয়ানায় নতুন করে দুটি কূপ খনন শুরু করেছে মার্কিন এই কোম্পানি।