আবার বাড়ার পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য; যা বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
Published : 07 Nov 2024, 06:44 PM
আন্দোলন, সংঘাত, বন্যা ও ক্ষমতার পালাবদলে সৃষ্ট অস্থিরতার ধাক্কা কাটিয়ে জুলাই-অগাস্টের পর সেপ্টেম্বরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের নিচে নেমে এলেও আবার তা বেড়ে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছে।
পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা চলতি অর্থবছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
অর্থাৎ, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা এ বছরের অক্টোবরে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১১০ টাকা ৮৭ পয়সা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সবশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে।
নানা কারণে বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে গিয়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে ঠেকে, যা অগাস্টে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমেছিল।
সেপ্টেম্বরে তা আরও কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে দাঁড়ায়। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ০৭ শতাংশ পয়েন্ট।
বিবিএসের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বাড়ার পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য।
এসময় খাদ্য বহির্ভূত খাতে আগের মাসের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কম থাকলেও এক মাসের ব্যবধানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ পয়েন্ট।
পরিসংখ্যান বলছে, অক্টোবরে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ; যা সেপ্টেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।
খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি কমে অক্টোবরে হয়েছে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ; যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ।
অপরদিকে অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শহর ও গ্রামেও। শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে; যা সেপ্টেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ।
গ্রামে অক্টোবরে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ; যা এক মাস আগেও ছিল ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।