এ নিয়ে মামলায় ৯৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের বক্তব্য শেষ হল।
Published : 28 Feb 2024, 06:33 PM
চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় আরো পাঁচজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অন্য চারজন পুলিশ সদস্য।
এ নিয়ে মামলায় ৯৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের বক্তব্য শেষ হল।
বুধবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন চাকরিচ্যুত পুলিশ কর্মকর্তা ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার।
তারা হলেন: চট্টগ্রাম সিনিয়র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদ, পুলিশের পরিদর্শক হারুনুর রশিদ, এসআই রাছিব খাঁন ও আবদুল করিম এবং এএসআই নিজাম উদ্দিন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদের জেরাও শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।”
কী বিষয়ে সাক্ষ্য হয়েছে- এই প্রশ্নে নেছার বলেন, “আজ যে ম্যাজিস্ট্রেট সাক্ষ্য নিয়েছেন, তার কাছে এই মামলার দুই আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। সিরাজুল ইসলাম নামে একজন সাক্ষীরও সাক্ষ্য নিয়েছিলেন তিনি। সেসব বিষয়ে আজ আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে।”
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
মিতুর স্বামী পুলিশের চাকরিচ্যুত এসপি বাবুল ওই ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে বদলি হন। তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
শুরুতে জঙ্গিদের দিকে আঙুল তোলা হলেও পরে কাহিনীতে আসে নাটকীয়তা।
সাড়ে তিন বছর তদন্ত করেও ডিবি পুলিশ কোনো কূলকিনারা করতে না পারার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই।
এক পর্যায়ে মামলার বাদী থেকে এক পর্যায়ে আসামিতে পরিণত হন বাবুল। চাকরিও হারান তিনি।
২০২১ সালের মে মাসে পিবিআই জানায়, স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল বাবুল আক্তারের ‘পরিকল্পনায়’। আর এজন্য খুনিদের ‘লোক মারফত তিন লাখ টাকাও দিয়েছিলেন’ তিনি।
বাবুলের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর মিতুর বাবা আরেকটি মামলা করেন। তবে সেই মামলা আদালতে না টেকার পর বাবুলের মামলাটিই পুনরুজ্জীবিত হয়।
২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। তাতে বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। এরপর ওই বছরের ১০ অক্টোবর সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।
আরও পড়ুন:
মিতু হত্যা: বাবুলের বর্তমান স্ত্রী মোশাররফের বাসায় গিয়েছিলেন ডিসেম্বরে
মিতু হত্যা: বাদী বাবুল আক্তার যেভাবে আসামি