বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৭ মিলিমিটার; আরও বৃষ্টির আভাস।
Published : 17 Jun 2023, 09:07 PM
চট্টগ্রামে ঘণ্টা দেড়েকের ভারি বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে; এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকেই।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলে। এরপর থেমে থেমে বিকাল তিনটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। তবে প্রথম দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতেই নগরীর রাস্তাঘাটের অনেক স্থানে পানি জমে গেলে যাতায়াতে অসুবিধায় পড়েন নগরবাসী।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আমবাগান কেন্দ্রে বেলা ১২টা থেকে তিন ঘণ্টায় ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; পতেঙ্গায় বৃষ্টি হয়েছে ১১ মিলিমিটার।
রোববারও নগরীতে বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি দাশ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এখন যে পরিমাণ মেঘ জমে আছে তাতে আগামীকালও থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।”
এদিকে বৃষ্টি শুরুর কিছু সময় পরই নগরীর দুই নম্বর গেইট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, পশ্চিম খুলশী, চান্দগাঁও আবাসিক, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাড়ই পাড়া, ডিসি রোড, বাকলিয়া, চকবাজার কাঁচাবাজার, রহমতগঞ্জ, আতুরার ডিপো, অলঙ্কার মোড়ের মূল সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
মূল সড়কে পানি জমে যাওয়ায় হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পোহাতে হয় পথচারীদের।
নগরীর কাট্টলীর বাসিন্দা দেবী দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কর্নেল হাট মোড় থেকে অলঙ্কার মোড়ে আসি নিউমার্কেট যাব বলে। বৃষ্টি শুরুর ১০-১৫ মিনিটের মাথায় অলঙ্কার মোড়ে পানি জমে যায়। সব নালার ময়লা পানি। ময়লা পানির ভেতর হাঁটাও বিপদ। কোথায় গর্ত আছে কে জানে।”
এসময় পশ্চিম খুলশী এলাকায় প্রায় এক থেকে-দেড় ফুটের মতো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাই যানবাহনের গতিও ছিল ধীর।
নগরীর তিন পোলের মাথা এলাকার সড়কে প্রায় এক হাঁটু পরিমাণ পানি জমে।
এই পথের রিকশাচালক সেলিম বলেন, “হঠাৎ করে রাস্তায় পানি দাঁড়ায় গেছে। রিকশা টানা যায় না। রিকশা তো রিকশা, গাড়িও চলতে কষ্ট হইতাছে।”
নগরীর কাতালগঞ্জ এলাকায় দেখা যায় হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট গুটিয়ে পথচারীরা চলাচল করছেন অতি সাবধানে।
এই এলাকার বাসিন্দা শাহীন আলম বলেন, “বৃষ্টি একটু বেশি হলেই এই এলাকায় হাঁটুর উপর পানি থাকে। এটা শহরের মাঝখানের একটা আবাসিক এলাকা। এখানে অনেক স্কুল। হাসপাতালও আছে। এভাবে আর কতদিন। কত প্রকল্প হলো কাতালগঞ্জের পানি আর কমে না।”
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, “এবার বর্ষায় আজই প্রথম ভারি বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে৷ প্রথম বৃষ্টি হওয়ায় খালগুলোর উজান থেকে আবর্জনা নিচের দিকে চলে আসছে। তাই বৃষ্টির পানি নামতে পারেনি।
“আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা খাল-নালার প্রতিবন্ধকতা অপসারণের কাজ করেছে। তাই পানি নেমে গেছে বিকালের মধ্যে। আশাকরি পরের বৃষ্টির সময় আর এই অবস্থা হবে না।”