পাহাড় রক্ষায় আইন হওয়া উচিত: এনামুর

অবশ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার স্বার্থে পাহাড়ি সড়ক নির্মাণে বাধা দেওয়ার পক্ষে নন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2023, 01:41 PM
Updated : 30 April 2023, 01:41 PM

ভূমিধসের মত দুর্যোগ ঠেকাতে পাহাড় রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।

তিনি বলেছেন, “পাহাড় নিয়ে আইন হওয়া উচিত। চাইলেই যেখানে-সেখানে বসতি গড়ে তুলবে, আর ল্যান্ডস্লাইড হলে শত শত লোক মৃত্যুবরণ করবে, সরকারের উপরে দোষ চাপানো হবে- এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটাকে প্রতিহত করতে হবে।“

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ভূমিধস দুর্যোগ প্রশমন বিষয়ক এক কর্মশালায় বক্তব্য রাখছিলেন এনামুর।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা যেখানে-সেখানে বসতি স্থাপনের অনুমতি দিতে চাই না। পাহাড় পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করছে। এটা স্পর্শ করলে বিপর্যয় আসবে স্বাভাবিক। যেসব পাহাড় অক্ষত আছে, সেখানে কিন্তু বিপর্যয় হচ্ছে না; যেখানে পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি বানানো হচ্ছে, সেখানে ল্যান্ডস্লাইড হচ্ছে।

“ল্যান্ডস্লাইডকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের পলিসি তৈরি করব। এই কর্মশালা থেকে যে পরামর্শগুলো এসেছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আলোচনা করব।”

তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার স্বার্থে পাহাড়ি সড়ক নির্মাণে বাধা দেওয়ার পক্ষে নন প্রতিমন্ত্রী এনামুর।

“পাহাড়ে সড়ক তৈরি- এটাকে অ্যাভয়েড করা যাবে না। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে- সেখানে অর্থনীতির গতি হবে।

“তবে কোথায় দিয়ে রাস্তা নিলে আমাদের ল্যান্ডস্লাইপ ঝুঁকি কম হবে, তা ভালোভাবে স্টাডি করে নিতে হবে। সেনাবাহিনী পাহাড়ে অনেকগুলো সড়ক তৈরি করেছে, যার ফলে এখন পাহাড়ে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন ব্যবস্থা দৃঢ় হয়েছে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, “এই কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে এবং এতে উপস্থাপিত বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল দুর্যোগ প্রশমনের ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারণে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের যৌথভাবে ‘ল্যান্ডস্লাইড ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন এপ্রোচেস ইন বাংলাদেশ: স্পেশাল অ্যাটেনশন অন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় ছয়টি গবেষণা প্রবন্ধের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এতে শিক্ষক, গবেষক, বিশেষজ্ঞ, শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক  জিল্লুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলাম এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের সহযোগী অধ্যাপক ড. বায়েস আহমেদ অন্যদের মধ্যে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।