ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এছাড়া রোবটিং ফায়ার ফাইটিং পদ্ধতিতেও সেখানে পানি ছিটানো হচ্ছে।”
Published : 05 Mar 2024, 09:28 AM
চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর তীরে এস আলম গ্রুপের অপরিশোধিত চিনির গুদামের আগুন ১৮ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নেভেনি।
সোমবার বিকাল ৪টার আগে আগে কর্ণফুলী থানার ইছাপুর এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের চারটি গুদামের মধ্যে একটিতে আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুরোপুরি নেভেনি। আমাদের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এছাড়া রোবটিং ফায়ার ফাইটিং পদ্ধতিতেও সেখানে পানি ছিটানো হচ্ছে।”
কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক সংলগ্ন ইছাপুর এলাকায় ১১ মেগাওয়াটের এস আলম পাওয়ার প্লান্টের পাশেই এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিল। পাওয়ার প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ দিয়েই চিনি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম চলে।
কোম্পানির কর্মকর্তারা বলছেন, রোজার মাস সামনে রেখে মিলের চারটি গুদামে মোট চার লাখ টন অপরিশোধিত চিনি মজুদ করা হয়েছিল। পরিশোধনের পর ওই চিনি বাজারে যাওয়ার কথা। এর মধ্যে ১ নম্বর গুদামের এক লাখ টন চিনি পুড়ে গেছে।
রোজা শুরুর মাত্র এক সপ্তাহ আগে বিপুল পরিমাণ চিনি ভষ্মীভূত হওয়ায় এর প্রভাব বাজারে কতটা পড়বে, এখন চলছে সেই আলোচনা।
আগুন লাগার সময় সুগার মিল চালু থাকলেও পরে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। মিলের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাশের স্থাপনা এবং পাওয়ার প্ল্যান্টে আগুন ছড়ায়নি। সুগার মিল ও পাওয়ার প্ল্যান্ট মিলিয়ে এক হাজারের মত শ্রমিক-কর্মচারী আগুন লাগার সময় কাজে ছিলেন। তবে তারা সবাই নিরাপদে সরে যেতে পেরেছেন।”
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুণ পাশা বলেন, “পাঁচতলা ভবনের সমান উঁচু ছিল গুদামটি। সেটি ভর্তি ছিল র-সুগারে (অপরিশোধিত চিনি) । আগুনে কেউ হতাহত হয়নি। আশেপাশের স্থাপনাগুলোতে আগুন ছড়ানো ঠেকানো গেছে।”
আগুন লাগার পর ওই কারখানায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা এবং চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।
আগুনের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল মালেক মুত্তাকিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, নগর পুলিশ, স্থানীয় ইউএনওসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে কমিটিতে।”
পুরনো খবর
এস আলমের গুদামে পুড়ল ‘লাখ টন’ চিনি