ব্যাংক কর্মকর্তা ইফতেখারুল কবিরকে ২১ বছর এবং তার সহযোগী আজম চৌধুরীকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
Published : 22 Jun 2023, 09:15 PM
গ্রাহকের ৬৩ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ দুজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিডেটের (ইবিএল) চান্দগাঁও শাখার সাবেক প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার ইফতেখারুল কবির এবং তার সহযোগী আজম চৌধুরী।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তা ইফতেখারুল কবিরকে দণ্ডবিধির চারটি ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের একটি ধারাসহ মোট ৫টি ধারায় সবমিলিয়ে ২১ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
“রায় ঘোষণা সময় ইফতেখারুল কবির আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
আরেক আসামি আজম চৌধুরীকে পাঁচটি ধারায় মোট ১২ বছরের কারাদণ্ড, ৩৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজম চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, “দণ্ডিত দুজনের বিভিন্ন ধারার সাজা একসাথে কার্যকর হবে।”
এ মামলার অন্য দুই আসামি ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার সামিউল শাহেদ চৌধুরী এবং ব্যাংকের গ্রাহক মাহমুদুল হাসানকে খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ইফতেখারুল কবির ও আজম চৌধুরী পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে ইবিএলের গ্রাহক মিজানুর রহমানের ৬৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।
২০১৮ সালের ৩ জুলাই গ্রাহক মিজানুর রহমান একটি এফডিআর খোলার জন্য ৪০ লাখ টাকা দিলে ইফতেখারুল কবির জাল প্যাড-সিল-স্বাক্ষর তৈরি করে মিজানুরকে ভুয়া এফডিআর রশিদ দেন।
এছাড়া মিজানুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আসামি আজম চৌধুরীর অ্যাকাউন্টে ২৭ লাখ টাকা সরিয়ে পরস্পর যোগসাজোশে আত্মসাত করেন।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২২ অগাস্ট নগরীর চান্দগাঁও থানায় অভিযোগ করেন গ্রাহক মিজানুর রহমান। পরে বিষয়টি যায় দুদকের হাতে।
সেসময় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার ২০২২ সালের ২৯ মে চারজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন।
২০২৩ সালে ৩০ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১১ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল আদালত।