বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আব্দুস সামাদ বলছেন, কোনো নির্বাচনই হয়নি।
Published : 27 Apr 2023, 06:12 PM
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে স্বল্প সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতির মধ্যেও নানা অনিয়ম হয়েছে অভিযোগ তুলে নতুন করে ভোট নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ।
ভোটগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম নগরীর মোমিন রোডে দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে শূন্য এই আসনে বৃহস্পতিবার উপনির্বাচন হয়। নগরীর কিছু অংশ ও বোয়ালখালী উপজেলা নিয়ে এই আসনে ১৯০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়।
সংসদের মেয়াদ শেষের আট মাস আগের এই নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগের নোমান আল মাহমুদসহ মোট পাঁচজন প্রার্থী হন এই নির্বাচনে।
সকালে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার এজেন্টদের দেখা গেলেও অন্যান্য প্রার্থীর এজেন্ট দেখা যায়নি। ভোটার না থাকায় এজেন্টদের অনেকেই বারান্দায় ঘোরাঘুরি ও গল্প করে সময় কাটাচ্ছিলেন।
মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী সামাদ ভোটগ্রহণের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। দুপুরের আগেই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এরপর বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি খুব কম ভোট পড়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া, গোপন বুথে অবাঞ্ছিত ব্যক্তির উপস্থিতি, জোর করে ভোট নেওয়ার অভিযোগ তোলেন।
সামাদ বলেন, “নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত রাখা হোক। নতুন করে নির্বাচন দেওয়া হোক। ভোটার উপস্থিতি ৫-৭ শতাংশের বেশি হবে না। এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তির স্বার্থে এই নির্বাচন স্থগিত করা হোক।
“আমরা ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে অনেক অভিযোগ লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি। কোনো অভিযোগ রিটার্নিং অফিসার আমলে নেননি।”
এক প্রশ্নের জবাবে সামাদ বলেন, “কোনো নির্বাচন হয়নি এটা। কোনোভাবেই এটাকে নির্বাচন বলার সুযোগ নেই। আমরা প্রয়োজনে হাই কোর্টে যাব।
“ভোটের আগে ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের হুমকি দিয়েছে। ভোটারদের ভয় দেখাতে বাইরে থেকে এলাকায় লোক এনেছে। তাদের ভয়ে সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারেনি।”
অর্ধ শতাধিক কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া, গোপন বুথে অনুপ্রবেশ, জোর করে ভোট নেওয়াসহ লিখিত পাঁচটি অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এই উপনির্বাচনে নোমান ও সামাদ ছাড়া প্রার্থী হন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন (চেয়ার), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি’র কামাল পাশা (আম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী (একতারা)।