তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
Published : 22 Feb 2023, 08:16 PM
প্রায় ১০ বছর আগে চট্টগ্রামে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনার মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞা এ আদেশ দেন বলেন পিপি অনুপম চক্রবর্তী জানান।
তারা হলেন- ওই সময়ের চান্দগাঁও থানার এসআই আরিফুল রহমান ও আব্দুল হালিম। নিহতদের সুরতহাল করেছিলেন পুলিশের এই দু্ই সদস্য।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পিপি বলেন, “আজ (বুধবার) মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ছিল। কিন্তু সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।”
গত আট বছর ধরে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে; মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অধীনে নির্মাণাধীন বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে পড়ে। এতে ১৩ জন নিহত হন।
পরে ২৬ নভেম্বর নগরীর চান্দগাঁও থানার ওই সময়ের এসআই আবুল কালাম আজাদ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
ওই মামলায় প্রকল্পটির পরিচালক সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী তানজিব হোসেন ও উপসহকারী প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়।
এছাড়া ঠিকাদারি কোম্পানি মীর আখতার অ্যান্ড পারিসা ট্রেড সিস্টেমসের ১০ জন এবং বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ১২ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছিল।
কিন্তু ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর এজাহার বর্হিভূত একজনসহ আটজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শহীদুল ইসলাম।
আর এজাহারভুক্ত সিডিএ’র তিন কর্মকর্তা, ঠিকাদারি কোম্পনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজন এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মতিনসহ ১২ জনকে বাদ দেওয়া হয়।
পরে ২০১৪ সালের ১৮ জুন আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান। অভিযুক্ত সবাই মীর আখতার-পারিসার (জেবি) ওই সময়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এই আটজন হলেন- প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. গিয়াস উদ্দিন, মো. মনজুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম।
এদিকে বিচার শুরুর আট বছরেও এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়নি। আর এজন্য নির্ধারিত দিনে আদালতে সাক্ষীদের হাজির না হওয়াকে দুষছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
পুরনো খবর