আসামিরা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
Published : 26 Oct 2022, 06:57 PM
দুই বছর আগে চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনায় এক প্রবাসীসহ ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এসআই সঞ্জয় গুহ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ১৬ জনকে আসামি করে প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
তদন্তে ‘নব্য জেএমবির’ ২০ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য মিললেও চারজনের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না পাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে আপাতত তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
১৬ আসামির মধ্যে ১৩ জন গ্রেপ্তার আছেন, তাদের একজন কিশোর। বাকিরা হলেন- মো. সাইফুল্লাহ (২৪), মো. এমরান (২৪), আবু সালেহ (২৫), মো. আলাউদ্দিন (২৩), মহিদুল আলম (২৫), মো. জহির উদ্দিন (২৮), মো. মঈনউদ্দিন (২৩), রহমত উল্লাহ (২৪), সাহেদ হোসেন (২৪), মো. সেলিম (৩৩), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৫), আব্দুল কাইয়ুম (২৪)।
পলাতক দেখানো হয়েছে- কায়সার উদ্দিন (২১), মো. মোরশেদুল আলম (২৫) ও দুবাই প্রবাসী মো. শাহজাহানকে (২৮)।
চট্টগ্রামে ট্রাফিক বক্সে বিস্ফোরণ, ২ পুলিশ আহত
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মামলার আসামিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র মতাদর্শী নব্য জেএমবি’র সদস্য। সরকারি স্থাপনায় হামলা ও সরকারি কর্মচারীদের হত্যা করে নিজেদের কার্যক্রমে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছে।
আসামি নোমান সংগঠনটির আমিরের দায়িত্বে ছিলেন, সেলিম সামরিক কমান্ডার ছিলেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, পুলিশ বক্সে হামলার আগে সেলিম, জহির, নোমান ও মোর্শেদ মিলে জিআই পাইপ দিয়ে একটি বোমা তৈরি করে পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটান।
২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ষোলশহর ২ নম্বর গেইট ট্রাফিক বক্সে ওই বিস্ফোরণে দুই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন। বিস্ফোরণে ট্রাফিক বক্সটিতে থাকা সিগন্যাল বাতি নিয়ন্ত্রণের সুইচ বোর্ড ধ্বংস হয়।
এই হামলায় আইএস জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে বলে জঙ্গিবাদ পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ তখন দাবি করেছিল।
এ ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করা হয়। তা তদন্তের দায়িত্ব পায় নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. এমরানসহ ১৩ জনকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জন আদালতে ১৫৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।