তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার পরই গ্রেপ্তার অভিযানে নামল শিল্প পুলিশ।
Published : 14 Mar 2023, 11:08 PM
তদন্ত প্রতিবেদনে কারখানা পরিচালনায় গাফিলতি চিহ্নিত হওয়ার পর সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিকদের গ্রেপ্তার করতে নেমেছে শিল্প পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে এক মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মাহবুবর রহমান।
গ্রেপ্তার পারভেজ উদ্দিন শান্টু কোম্পানির পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। তার ভাই মামুন উদ্দিন কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাদের আরেক ভাই আশরাফ উদ্দিন বাপ্পিও কোম্পানির পরিচালক। তাদের বাবা এই কারখানা তৈরি করেছিলেন।
সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে নিহত এক ব্যক্তির স্বজন যে মামলা করেন, তাতে এই তিন ভাইকেই আসামি করা হয়।
চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় থেকে পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে শিল্প পুলিশের কর্মকর্তা মাহবুবর বলেছেন, মামলার অন্য আসামিদেরও খোঁজা হচ্ছে।
গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সাতজন নিহত হয়, আহত হয় ২৫ জন। বিস্ফোরণ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে লোহার টুকরা, সিলিন্ডার কয়েকশ গজ দূরে গিয়েও পড়ে, তাতে একজন নিহত হয়।
বিস্ফোরণে নিহত আবদুল কাদেরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রাণহানির অভিযোগ এনে ৭ মার্চ সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন। মামলায় মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
দণ্ডবিধির ৩৩৭, ৩৩৮, ৩০৪ ও ৪২৭ ধারায় মামলা করা হয়। ৩০৪ ধারায় বলা আছে- হত্যার উদ্দেশ্য না থাকার পরও মৃত্যু ঘটলে তা ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ বিবেচনা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং তার সঙ্গে অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে।
সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের বিরুদ্ধে মামলা
ওই অগ্নিকাণ্ড তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। তাতে কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে; যদিও সীমা অক্সিজেন কর্তৃপক্ষ বলে আসছিল, তারা সব নিয়ম মেনেই কারখানা পরিচালনা করছিলেন।
সকালে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর রাতেই সীমা অক্সিজেনের এক মালিক গ্রেপ্তার হলেন।
সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ: কাজে নেমে তদন্ত কমিটিও ‘শিখেছে’