“আন্তর্জাতিক পাচারকারীরা বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে”, বলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবীর খন্দকার।
Published : 15 Jul 2024, 11:52 PM
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে কোকেনের যে চালানটি ধরা পড়েছে সেটি বাংলাদেশ হয়ে অন্য দেশে পাচার হত বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবীর খন্দকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে নজরদারির পর ওই নারীকে আটক করা হয়েছে। কোকেন পাচারের বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে আন্তর্জাতিক ভাবে তথ্য এসেছিল, যার কারণে ওই নারীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল।”
আন্তর্জাতিক পাচারকারীরা বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “এ চালানটি অন্যদেশে চলে যেত।"
মঙ্গলবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানিয়েছেন উপ-পরিচালক হুমায়ুন।
সোমবার সকালে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রায় চার কেজি কোকেনসহ এক বিদেশি নারীকে আটক করা হয়।
স্টালিয়া শান্তে নামের ওই নারী বাহামার নাগরিক। তার কাছ থেকে তিন কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের ‘কোকেনের একটি প্যাকেট’ উদ্ধার করা হয়।
ওই নারী গত ১২ জুলাই ব্রাজিলের সাওপাওলে থেকে রওনা করে দুবাই হয়ে গত ১৩ জুলাই বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আসেন। তার পর থেকেই ওই নারীকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, এপিবিএনসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারিতে রেখেছিল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এসে অবস্থান করেছিল।
সোমবার ওই নারী বিমানবন্দর থেকে তার লাগেজ আনতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে তাকে আটক করা হয়।
পরে তাকে নিয়ে অভিযান করেও বাংলাদেশের এজেন্টকে আটকের চেষ্টা করা হয়।