সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নগরীর কাট্টলীতে ডিসি পার্কের দক্ষিণ পাশে অস্থায়ী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
Published : 26 Mar 2025, 12:10 PM
চট্টগ্রামে স্বাধীনতা দিবসের সকালে একাত্তরের বীর শহীদদের স্মরণ করেছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
বুধবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নগরীর কাট্টলীতে ডিসি পার্কের দক্ষিণ পাশে অস্থায়ী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
দিনের কর্মসূচি শুরু হয় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে। এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবর্ক অপরণ করা হয়।
চট্টগ্রামের সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পালশ, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানান। তারপর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “১৯৭১ সালের সকল শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমরা বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে চাই। সকল শ্রেণির নাগরিকদের সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সে স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই।
“১৯৭১ এবং ২০২৪ নিয়ে কোন প্রকার বির্তকে যাওয়া উচিত হবে না। একটিকে দিয়ে অন্যটি ঢেকে দেওয়া যাবে না।”
সাংবাদিকদের জবাবে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, “২০২৪ এবং ১৯৭১ একই সূত্রে গাঁথা। একাত্তরে লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে অধিকার আদায়ের জন্য, ঠিক তেমনি ২০২৪ সালেও অধিকার আদায়ের জন্যই হাজারের উপর ছাত্রজনতা রক্ত দিয়েছে। সুতরাং আমরা একাত্তরকে ভুলব না, একাত্তরের চেতনা নিয়ে আমরা ২০২৪ কে নেতৃত্ব দেব।”
সরকারি বিভিন্ন বিভাগের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্থানীয় বাসিন্দা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এদিকে নগরীর কে সি দে রোডের শহীদ মিনারে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, গালর্স গাইডের সদস্যরা তাতে অংশ নেয়।
বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন।