কেজিডিসিএল বলছে, চট্টগ্রামে গ্যাসের চাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে এবং শনিবার দুপুর নাগাদ এক পর্যায়ে আসবে।
Published : 20 Jan 2024, 11:08 AM
এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলেও চট্টগ্রামের বাসাবাড়িতে এখনো সেভাবে মিলছে না জ্বালানি।
শুক্রবার গভীর রাতে নগরীতে গ্যাস আসতে শুরু করে বলে জানানো হয় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে।
কিন্তু শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত নগরীর বেশিরভাগ এলাকাতে গ্যাস আসেনি। এছাড়া নগরীর হাতেগোনা কয়েকটি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে গ্যাস সকাল থেকে মিলছে।
গভীর রাতে নগরীর কয়েকটি এলাকার বাসাবাড়িতে সীমিত পরিসরে গ্যাস আসলেও শনিবার সকাল থেকে আবারও ওইসব এলাকায় গ্যাস মিলছে না।
নগরীর চেরাগি পাহাড় এলাকার গৃহিণী মিত্রা বিশ্বাস শুক্রবার রাত একটার দিকে তার বাসার চুলায় মৃদু গ্যাস মিলেছিল বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরদিন সকালে তার বাসার চুলায় গ্যাস ছিল না।
নগরীর হালিশহর কে ব্লকের বাসিন্দা রাশেদুল তুষার বলেছেন, তার বাসা ও আশপাশের এলাকাতেও গ্যাস আসেনি।
নগরীর আন্দরকিল্লা, চেরাগীর পাহাড়, চকবাজার, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, মুরাদপুর, জিইসি মোড়সহ বেশিরভাগ এলাকাতেই গ্যাস আসেনি।
শনিবার সকাল সোয়া নয়টায় নগরীর কদমতলী মোড়ের সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে গ্যাস নেয়ার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারের লাইন দেখা গেছে।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আমিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার রাত থেকে কক্সবাজারের এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস দেয়া শুরু হয়েছে।
সব জায়গায় গ্যাস না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “গ্যাস মূল পাইপলাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। শুরুতেই হাই প্রেশার চালু করা যায়নি। মূল লাইন থেকে কিছু চট্টগ্রামে ঢুকছে। সে কারণে এখানে চাপ কম আসছে। কিছু কিছু এলাকায় গ্যাস মিলছে।"
চট্টগ্রামে গ্যাসের চাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে জানিয়ে আমিনুর রহমান বলেন, “শনিবার দুপুরের পর একটা পর্যায়ে আসবে।”
একটি এলএনজি টার্মিনাল কমিশনিংয়ের সময় কারিগরী ত্রুটির কারণে বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে চট্টগ্রামে বাসাবাড়ি, শিল্প কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে সরবরাহ করা গ্যাস দিয়েই মেটানো হয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবাসিক, শিল্প কারখানা ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের চাহিদা। প্রতিদিন গড়ে ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট (সিএফটি) চাহিদা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছিল ২৯০ সিএফটি।
নোটিস ছাড়াই গ্যাস বন্ধ হওয়ায় আবাসিক সংযোগ ব্যবহারকারী নাগরিকদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। বন্ধ হয়ে যায় এ অঞ্চলের সকল সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন, তিনটি সার কারখানা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ ছোট ছোট বিভিন্ন শিল্পকারখানা।