“বর্জ্যের কারণে একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় ডুবে যায় বন্দরনগরী,” বলেন তিনি।
Published : 05 Dec 2024, 08:29 PM
চট্টগ্রাম নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকটের বিজ্ঞানসম্মত সমাধানে দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা চেয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন।
সিটি করপোরেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবনে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক সৌজন্য সাক্ষাতে এলে মেয়র এ অনুরোধ করেন।
শাহাদাত বলেন, বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রতিদিন গড়ে ২০০০ থেকে ২৫০০ টন কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এ বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ বর্জ্যের কারণে একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় ডুবে যায় বন্দরনগরী। এছাড়া কর্ণফুলী নদীর তলদেশ পলিথিন ও প্লাস্টিকে ঢেকে গেছে। এতে নাব্য হারানোর পাশাপাশি দূষণের কবলে হুমকির মুখে পড়েছে নদীটি।
তিনি বলেন, “বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন দেশের একাধিক প্রস্তাব থাকলেও প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন পরিবেশসম্মত কী না তা নিশ্চিত হতে চাই।”
মেয়র বলেন, “প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দক্ষিণ কোরিয়া চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি সামগ্রিক সমাধান প্রদান করতে পারে, যার আওতায় বর্জ্য সংগ্রহ থেকে রিসাইক্লিং এবং বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরের পথরেখা থাকবে।”
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগের ফলে বিপুল কর্মসংস্থান হয়েছে চট্টগ্রামে।”
বর্তমানে নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনেও নেওয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে।
“দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পগোষ্ঠীগুলো আরো বিনিয়োগ ও শিল্প-কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে এই সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারে।”
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাতে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেছেন, “বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে অপচনশীল বর্জ্য ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন পুরো বিশ্বের জন্যই চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তা চট্টগ্রামের জন্য মঙ্গলকর হবে।
“এছাড়া চট্টগ্রামের দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা, শিল্পায়ন ও নগরায়নের চাপ সামলানোর জন্য যে কোন সমস্যার সমাধানে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ।”
এসময় সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, কোরিয়ান দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব লি নামসু উপস্থিত ছিলেন।