শনিবার রাতে সরল ইউনিয়নের কানুনগোরখিল গ্রামে জাহিদুলকে ছুরি মারা হয়।
Published : 02 Mar 2025, 05:09 PM
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে রিকশাচালকের ‘খুনির’ সন্ধান মিলেছে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে।
রোববার ভোরে নগরীর পাঁচলাইশ এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে মো. আরমান (২১) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরমান সরল ইউনিয়নের কানুনগোরখিল ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জালিয়াঘাটার বাসিন্দা আনু মিয়ার ছেলে।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে স্থানে চালককে ছুরি মারা হয়, সেখান থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছিল। তার সূত্র ধরে আতুরার ডিপো এলাকায় আরমানের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
“ভোরে তাকে আটক করে থানায় নেওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আরমান।”
হত্যাকণ্ডের ঘটনায় রিকশাচালক জাহিদুলের মা বাঁশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
শনিবার রাতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের কানুনগোরখিল গ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক জাহিদুল ইসলামকে (২০) ছুরিকাঘাত করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জাহিদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রেপ্তার আরমানের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাতে ওসি সাইফুল বলেন, “জুয়া খেলে আরমান তার পরিবারের ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে ফেলে। সে টাকা জোগাড় করতে ব্যাটারির রিকশা ছিনতাই করে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল।”
আরমান পুলিশকে জানিয়েছেন, শনিবার রাতে বাঁশখালী মিয়ার বাজার থেকে সরল ইউনিয়নের কানুনগোরখিল যাওয়ার কথা বলে জাহিদুলের রিকশাটি ১৫০ টাকায় ভাড়া নেন তিনি। পথে মাউচ্চাপাড়া সরল ব্রিজের কাছে খালের পাড়ে নিয়ে চালককে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করেন।
এসময় চালক জাহিদুল রিকশা থেকে পরে গিয়ে চিৎকার শুরু করলে আরমান ‘হতভম্ব’ হয়ে ছুরিটি পাশে খালে ফেলে পালিয়ে যান।