মীরসরাইয়ে ডুবে যাওয়া ড্রেজার থেকে একজনের লাশ উদ্ধার

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের মধ্যে ডুবে যায় এই ড্রেজার, এতে আটজন শ্রমিক ছিলেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2022, 04:25 PM
Updated : 25 Oct 2022, 04:25 PM

সিত্রাংয়ের প্রভাবে বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া বালুর ড্রেজারে নিখোঁজ এক শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ড্রেজারটির ভিতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন মীরসরাইয়ের ইউএনও মিনহাজুর রহমান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ড্রেজারের ভিতর থেকে ডুবুরিরা একজনের লাশ উদ্ধার করে এনেছে। নিখোঁজ শ্রমিক জাহিদ ও আল আমীনের আত্মীয়রা মরদেহটি তাদের স্বজনের বলে দাবি করছে। তবে এখনও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাকি সাতজনের এখনও কোনো খোঁজ মেলেনি।”  

ডুবুরি দল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালায় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা।

সোমবার রাত ১১টার পর মীরসরাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের বসুন্ধরা শিল্প গোষ্ঠীর ঘাট-৩ এর পার্শ্ববর্তী বামনসুন্দর খাল ও বঙ্গোপসাগরের সংযোগ অংশে ‘সৈকত এন্টারপ্রাইজ-২' নামের ড্রেজারটি ডুবে যায়। তাতে শ্রমিক শাহীন (৩৭), ইমাম (২২), তারেক (২০), মাহমুদ (২৬), আল আমীন (৩০), জাকারিয়া (২৯), আলম (৩৫) ও জাহিদ (২৭) নিখোঁজ হন। সেই নৌযানটি থেকে একদিনের মাথায় একজনের লাশ উদ্ধার হলো।

নিখোঁজ সবাই পটুয়াখালীর জৈনকাঠি এলাকার বাসিন্দা।

Also Read: লোক পাঠিয়েও ড্রেজার থেকে আনা যায়নি সেই ৮ শ্রমিককে, এখন নিখোঁজ

মীরসরাইয়ের ইউএনও মিনহাজুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের বিপদসংকেত ঘোষণার পর ড্রেজারে থাকা শ্রমিকদের সরিয়ে নিতে কয়েক দফায় নৌকা ও ট্রলার গিয়েছিল। কিন্তু তারা ড্রেজারে থেকে যাবে জানিয়ে ফেরেননি।”

তিনি জানান, ইকোনমিক জোনে বেপজা'র হয়ে মাটি সরবরাহের কাজ করে ঠিকাদার খোকন। ঠিকাদারের পক্ষ থেকে ড্রেজারটি নিয়োগ পেয়ে কাজ করছিল।

সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা নৌকা নিয়ে ড্রেজারটির কাছে গেলে এর একটি কক্ষে শ্রমিকদের লাশ দেখতে পায় বলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানান।

ড্রেজারটির বেশিরভাগ অংশ ডুবে যাওয়ায় সেটির ভিতর বালু-মাটি ঢুকে পড়েছে। এতে ড্রেজারের বেশিরভাগ অংশ মাটির নিচে ঢুকে গেছে।

সোমবার ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এগিয়ে এলে চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়। এসময় সব ধরনের নৌযানকে উপকূলের কাছে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

রাতে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রমের সময় ঝড়ো হাওয়া এবং একই সময় জোয়ার চলমান থাকায় উত্তাল ছিল সাগর।