পলিথিনের সঙ্গে প্লাস্টিক উৎপাদনও বন্ধ চায় পিপল’স ভয়েস

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলছে, পলিথিনের পাশাপাশি প্লাস্টিকও সমহারে ক্ষতিকর; যার ব্যবহার সীমিত করাও অত্যন্ত জরুরি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2023, 11:48 AM
Updated : 5 June 2023, 11:48 AM

চট্টগ্রামকে পলিথিনমুক্ত করাসহ পরিবেশ রক্ষায় ১১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন পিপল'স ভয়েস।

সোমবার সংগঠনের সভাপতি শরীফ চৌহান ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আতিকুর রহমান সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণে চট্টগ্রাম মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এই বিবৃতি দেয় এই পরিবেশবাদী সংগঠনটি। এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘প্লাস্টিক দূষণের সমাধান’।

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটাসহ পরিবেশ রক্ষায় দীর্ঘদিন সরব ভূমিকা পালন করছে পিপল’স ভয়েস।

ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের সিটি মেয়র এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ১ জুলাই থেকে চট্টগ্রামে পলিথিনের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে; পিপল’স ভয়েসের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আরও বলা হয়, “পলিথিনের পাশাপাশি প্লাস্টিকও সমহারে ক্ষতিকর। তাই প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার সীমিত করাও অত্যন্ত জরুরি।”

তবে পলিথিন নিষিদ্ধের ঘোষণা হলেও এর ব্যবহার বন্ধে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা যথার্থ নয় বলে মনে করছে পিপল’স ভয়েস।

“অতীতে পরিবেশ সুরক্ষায় গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের মত এই সিদ্ধান্তটিও যেন সময়ের সাথে হারিয়ে না যায়, সেজন্য কার্যকর ও স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।”

এসব বিষয় বিবেচনায় ১১টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবে, পলিথিন কারখানা বন্ধে অভিযান পারিচালনা, পলিথিন তৈরির কাঁচামাল আমদানি প্রক্রিয়া বন্ধ, পলিথিনের বিকল্প পণ্য হিসেবে পাটজাত, কাগজের অথবা কাপড়ের পণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি, পলিথিন ব্যবহার বন্ধে জরিমানাসহ আইনের প্রয়োগ এবং পলিথিন মজুদ ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ব্যবস্থা নিতে বলেছে সংগঠনটি।

এছাড়াও এর ব্যবহার বন্ধে নিত্যপণ্য, খাদ্যদ্রব্য ও ফলমূল কেনাবেচায় পলিথিন ব্যবহার, নালা-খাল ও নদীতে এবং উন্মুক্ত স্থানে পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা বন্ধে আইন প্রয়োগ ও প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার সীমিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন ও অনুসরণ করার পরামর্শও এসেছে।

পাশাপাশি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে গাছ না কাটা, ক্রমবর্ধমান তাপ প্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত সরকারি উদ্যোগে নগর জুড়ে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণ এবং চট্টগ্রামের অবশিষ্ট পাহাড় রক্ষায় অবিলম্বে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে পাহাড়ে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ ও ‘পাহাড়খেকোদের’ বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার কথাও বলা হয় বিবৃতিতে।

অবিলম্বে এসব পদক্ষেপ না নিলে পরিবেশের বিরূপ প্রভাব আরও বাড়বে উল্লেখ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও খাল সংস্কারের মেগা প্রকল্পে পলিথিনের সর্বগ্রাসী রূপ দৃশ্যমান হয়েছে। এ অবস্থায় চলতে থাকলে হাজার হাজার কোটি টাকার এসব প্রকল্প ব্যর্থ হবে।

“এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হবে। ব্যর্থ হবে অর্থায়ন ও সব উদ্যোগ। তাই সুন্দর ও সুস্থ আগামীর জন্য পরিবেশ রক্ষাই হোক আমাদের সকলের অঙ্গীকার।”