“শহরে যারা আন্দোলন করেছেন তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছি এবং বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছি কী ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয়েছে,” বলেন এক প্রসিকিউটর।
Published : 16 Jan 2025, 12:47 AM
জুলাই-অগাস্টে গণআন্দোলনে হত্যাকাণ্ড ও হামলার ঘটনায় চট্টগ্রাম নগরীতে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার ট্রাইবুন্যালের দুজন প্রসিকিউটর ও দুজন তদন্ত কর্মকর্তা বন্দরনগরীতে আন্দোলনে সরাসরি অংশ নেওয়া ও আহতদের সঙ্গে কথা বলেন।
ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর সাইমুল রেজা তালুকদার রাতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমে তারা প্রায় ৩০ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন, যার মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধও ছিলেন।
“শহরে যারা আন্দোলন করেছেন তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছি এবং বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছি কী ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে সঠিক চিত্র বোঝার চেষ্টা করছি, যাতে আমাদের তদন্ত কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হয়।”
গুলি ছোড়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখানে স্থানভেদে ভিন্নতা আছে। আন্দোলনকারীরা বলেছেন কোথাও কোথাও পুলিশ তাদের ওপর গুলি ছুড়েছে, আবার কোথাও কোথাও রাজনৈতিক দলের কর্মীরা গুলি ছুড়েছে।”
গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, যে আদালতটি ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে স্থাপন করা হয় মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য।
গণআন্দোলনে সরকার পতনের পর ট্রাইব্যুনালে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। বিচারক পাল্টানো হয়েছে, তদন্ত সংস্থাতেও এসেছে নতুন মুখ। সংশোধন করা হয়েছে আইনও।
প্রসিকিউটর রেজা বলেন, “শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতার বিরুদ্ধে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে সেটির ন্যায় বিচার নিশ্চিত করে রায়ের দিকে ধাবিত হওয়া আমাদের লক্ষ্য। সেটার জন্য প্রয়োজন সাক্ষ্য প্রমাণাদি এবং আইনের আলোকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে সেটির শুনানির জন্য প্রস্তুত করা। তারই অংশ হিসেবে আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে যেখানে মানবতাবিরোধী অপরার্ধ সংগঠিত হয়েছে সেখানে যাচ্ছি।
“…গুম-খুনসহ কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয়ে দেশব্যাপী তথ্য নিয়ে আমরা প্রমাণ করব যে ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ ছিল। মানে এখানে কারও দিক থেকে একটা ‘সুপ্রিম কমান্ড’ এসেছে এবং বাকিরা ‘সিস্টেমেটিকলি’ এটা পালন করেছে।”
অপর প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমানও সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন।