এরমধ্যে কিছুদিন আগেও ছয়টি ব্যাংকের পর্ষদ এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল।
Published : 01 Sep 2024, 12:45 AM
সেবার বিপরীতে মাশুল বা চার্জ হিসেবে নয়টি বেসরকারি ব্যাংকের চেক, পে-অর্ডার ও ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ করবে না চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ; যেগুলোর মধ্যে কিছুদিন আগেও এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংক ছিল ছয়টি।
অভ্যন্তরীণ বিভাগগুলোতে এ বিষয়ে লিখিত নির্দেশনা দিয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মেহাম্মদ আবদুস শাকুর স্বাক্ষরিত এ আদেশ বৃহস্পতিবার সব বিভাগীয় প্রধান, উপ-প্রধান ও শাখাপ্রধানের কাছে পাঠানো হয়।
এর কারণ হিসেবে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যেসব ব্যাংকের তারল্য সংকট রয়েছে সেগুলোর চেক ও পে-অর্ডার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকগুলো হল- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
এর মধ্যে কিছুদিন আগেও প্রথম ছয়টি ব্যাংকের পর্ষদে সরাসরি এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ পরোক্ষভাবে চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলমের নিয়ন্ত্রণ ছিল।
ক্ষমতার পালাবদলের পর এরইমধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে করে এসব ব্যাংকের পর্ষদ এস আলম মুক্ত হয়েছে।
বন্দর কর্মকর্তারা বলেন, ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাবে ঘাটতি থাকায় এসব ব্যাংকের চেক নিষ্পত্তি নিয়ে জটিলতার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তারা বলেন, বিনিয়োগের বিপরীতে এসব ব্যাংক থেকে সুদ রিটার্ন না পাওয়ায় বন্দর আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুদ দিতে এসব ব্যাংককে নোটিস দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এটিও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ।
বন্দর সচিব বলেন, বন্দরের স্টেক হোল্ডারদেরও এই নির্দেশনা জানানো হয়েছে।