খালে পড়ে নিখোঁজ সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমদের ছেলে সাদেকুল্লাহ মহিমকে যে চাকরি দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন; তার আর করতে চান না তিনি।
Published : 16 Nov 2021, 09:16 PM
তিনি বলছেন, ফিলিং স্টেশনে গাড়িতে গ্যাস ভরার যে কাজ তাকে দেওয়া হয়েছে, তা করা কঠিন। তাই ওই চাকরি তিনি করতে চান না।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মহিমকে ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) অস্থায়ী পদে চাকরি নিয়োগপত্র দেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। তাকে কাজ দেওয়া হয় সিসিসির ফিলিং স্টেশনে।
মহিম মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে কাজ দিবে বলেছিল, তা দেয়নি। ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভরার কাজ দিয়েছে। আগে অফিসিয়াল কাজ দিবে বলেছিল।”
এই কাজের সঙ্গে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া ‘কঠিন’ বলে চাকরিটি ছাড়তে চান তিনি।
ছেড়ে দিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে মহিম বলেন, “ছাড়ি নাই এখনও। পরীক্ষার জন্য যেতে পারব না বলেছি। পরীক্ষার পর চিন্তা করে দেখব, যাব, না কি যাব না।”
মহিম তাকে দিয়ে গ্যাস ভরার কাজ করানোর কথা বললেও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, তাকে ফিলিং স্টেশনে স্লিপ লেখার কাজ দেওয়া হয়েছে।
সিসিসির যান্ত্রিক বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মহিম বলেছিল, তার পরীক্ষা। পরীক্ষার মধ্যে কাজ করা সম্ভব না। মেয়র মহোদয় তার বিষয়ে খুবই ইতিবাচক। তাই তাকে বলেছি পরীক্ষার মধ্যে কাজ করতে সমস্যা হলে পরীক্ষা চলাকালে যেন না আসে। পরীক্ষা শেষে এসে ছুটির দরখাস্ত দিলেই চলবে।
“মৌখিকভাবেই সে জানিয়েছে, পরীক্ষা চলাকালে আসা সম্ভব না। পরীক্ষা শেষ হলে আসবে। চাকরি করবে না বা এরকম কিছু আমার জানা নেই।”
গত ২৫ অগাস্ট জলাবদ্ধতার মধ্যে নগরীর মুরাদপুর মোড়ে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় চশমা খালে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন সালেহ আহমেদ (৫৫)।
বর্জ্যে ভরা ওই খালে ও আশেপাশে কয়েকটি খালে টানা কয়েকদিন অভিযান চালিয়েও আর তার খোঁজ মেলেনি।
এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক সালেহ আহমদ নগরীর চকবাজারে সবজি বিক্রি করতেন।
সালেহ আহমদ ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাই তার মৃত্যুর পর স্ত্রী-সন্তানদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন মেয়র।