মঙ্গলবার টাইগার পাস এলাকায় সিসিসি’র অস্থায়ী নগর ভবনে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী নিখোঁজ সালেহ আহমদের ছেলে সাদেকুল্লাহ মহিমের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন।
সিটি করপোরেশনের ওয়ার্কশপে সহকারী পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে তার ছেলেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম।
তিনি বলেন, “শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে আপাতত এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি এখনও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। এখন অস্থায়ী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে পর্যায়ক্রমে স্থায়ী করা হবে।
“আরও আগেই তাকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি বলা হয়েছিল। তিনি (সাদেকুল্লাহ মহিম) অসুস্থ থাকায় একটু সময় লেগেছে। আজ চূড়ান্ত হয়েছে।”
গত ২৫ অগাস্ট জলাবদ্ধতার মধ্যে নগরীর মুরাদপুর মোড়ে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় চশমা খালে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন সালেহ আহমেদ (৫৫)।
বর্জ্যে ভরা ওই খালে ও আশেপাশে কয়েকটি খালে টানা কয়েকদিন অভিযান চালিয়েও আর তার খোঁজ মেলেনি।
সালেহ আহমদ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মনসা এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর চকবাজারে সবজি বিক্রি করতেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
তার ছেলে সাদেকুল্লাহ মাহিন চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন। সালেহ আহমদ ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার চাচাত ভাই মোহাম্মদ শিহাব মাহিনের নিয়োগপত্র পাওয়ার বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেন।
সালেহ আহমদের খালে পড়ে যাওয়ার একদিন পর তার বাসায় গিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন মেয়র।
সাম্প্রতিক কয়েক মাসে চট্টগ্রামে খালে বা নালায় পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। সালেহ আহমদের পর ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় নবী টাওয়ারের পাশের ফুটপাত ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় নাছির ছড়া খালে পড়ে নিখোঁজ হন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া (১৯)। পরে গভীর রাতে তার লাশ উদ্ধার হয়।
সালেহ আহমেদ ও সাদিয়ার মৃত্যুর পর খালে পড়ে মৃত্যুর দায় নিয়ে পরস্পরের দিকে আঙ্গুল তুলেছে সিটি করপোরেশন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।