ঐক্যের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষদাঁত ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
Published : 30 Aug 2021, 09:06 PM
সোমবার নগরীর জেএম সেন হলে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ-বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত জন্মাষ্টমী উৎসবের আলোচনা সভার প্রথম পর্বে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “যুগে যুগে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নানা অপকর্ম চালিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এখনও সেই অপশক্তি নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকে সম্মিলিত শক্তি নিয়ে, ঐক্যের ভিত্তিতে এই অপশক্তির বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে।"
সভার প্রধান বক্তা আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত বলেন, "ধর্মকে আমরা ধারণ করব আমাদের আত্মবুদ্ধি ও আত্মবিকাশের জন্য কিন্তু কখনো ধর্মান্ধতাকে নয়। ধর্মান্ধতা মানুষকে অজ্ঞতা ও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। তাই ধর্মকে ধারণ করতে হবে ধর্মান্ধতাকে নয়।
"ধর্ম হচ্ছে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য। অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথা নত করার জন্য নয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শকে ধারণ করে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।"
প্রতি বছর জন্মাষ্টমী উপলক্ষে পরিষদের আয়োজনে শোভাযাত্রা হলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গতবছরের মত এবারও তা হয়নি।
পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শিল্পপতি সুকুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন করেন চট্টগ্রাম রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ শক্তিনাথানন্দ মহারাজ ও শ্রীমৎ রবীশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জন্মাষ্টমী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুজিত কুমার বিশ্বাস। সুমন দেবনাথের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং প্রধান বক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদক চন্দন তালুকদার ও বিমল কান্তি দে, মহানগর পূজা পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য।
উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, প্রবর্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী, আনন্দ মোহন রক্ষিত, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম, সাধন ধর, মাইকেল দে, দুলাল চন্দ্র দে, চন্দন দাশ, তপন কান্তি দাশ, অধ্যাপক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জী, রত্নাককর দাশ টুনু, শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত, হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, অমিত চৌধুরী, তাপস কুমার নন্দী, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, পুলক খাস্তগীর, রুমকি সেনগুপ্ত, প্রকৌশলী আশুতোষ দাশ, ডা. বিধান মিত্র প্রমুখ।