২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তারেক রহমানকে ‘মাস্টারমাইন্ড’ দাবি করে তার সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
Published : 21 Aug 2021, 06:42 PM
শনিবার ২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৭তম বার্ষিকীতে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এই দাবি জানান।
নগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি বলেন, “গ্রেনেড হামলার মামলায় ঘোষিত রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুরজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। এই রায়ে বিএনপির মির্জা ফখরুল খুশী হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সমগ্র জাতি অখুশী না হলেও সন্তুষ্টও নয়।
“কারণ গ্রেনেড হামলার প্ল্যানার ও মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট বা সর্বোচ্চ শাস্তি হয়নি।”
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঘোষিত এই মামলার রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
আর খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
বর্তমানে দণ্ডিতদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন এবং আসামিদের আপিল হাই কোর্টে শুনানির অপেক্ষায় আছে।
শনিবারের সভায় আ জ ম নাছির বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষের উচিত উচ্চ আদালতে রায় পুনঃবিবেচনার আবেদন করে মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট বা ফাঁসির রায় নিশ্চিত করা। এটা না হলে জাতি পাপমুক্ত হবে না।”
সভায় নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, “২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মত এত বড় অপরাধ যখন ঘটে, তখন বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় এবং খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। তখন অপরাধ যারা করেছিল তাদের চিহ্নিত করা, গ্রেপ্তার ও আইনের হাতে সোর্পদ করার জরুরি কর্তব্যটি সম্পাদনে তৎকালীন সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
“বরং এই জঘন্য ঘটনাটি ধামাচাপা ও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অপরাধীরা যাতে নিরাপদে থাকতে পারে কৌশলে সেই চেষ্টাও করা হয়েছিল। এর দায় অবশ্যই খালেদা জিয়াকে বহন করতেই হবে।”
নগর কমিটির প্রচার সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, হাজী মো. হোসেন প্রমুখ।
সভার শুরুতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভী রহমানসহ সবার বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরআগে সকালে টিআইসিতে খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।