মিতু-বাবুল দম্পতির সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদ মাগুরায়
চট্টগ্রাম ব্যুরো, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 30 Jun 2021 07:17 PM BdST Updated: 30 Jun 2021 07:17 PM BdST
-
স্বামী বাবুল আক্তারের সঙ্গে মাহমুদা খানম মিতু। মিতু নিহত হয়েছেন। সেই হত্যা মামলায় বাবুল এখন কারাগারে। তাদের সন্তান দুটি এখন বাবা-মা ছাড়া।
মিতু-বাবুল দম্পতির দুই সন্তানকে শিশু আইন অনুসারে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মাগুরায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও সাক্ষ্যগ্রহণ করতে আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস আরার আদালতে শুনানি শেষে এই বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়।
মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি তার স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান লাবুর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেয়।
লাবুর আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন সমাজকল্যাণের প্রবেশন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মাগুরা কার্যালয়ে দুই শিশুর সাক্ষ্য নিতে।
“যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে মাগুরা থানার সহযোগিতা নিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মাগুরার শিশু বিষয়ক আদালতের কোনো কক্ষেও জিজ্ঞাবাদের জন্য নির্ধারণ করা যেতে পারে।“
সব ক্ষেত্রেই শিশু আইন অনুসরণ করতে বলেছে আদালত উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের কমপক্ষে তিনদিন আগে দুই শিশুর দাদা ও চাচাকে অবহিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এই আদেশের ফলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) মাগুরায় গিয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে বলে জানান এই আইনজীবী।
এর আগে ১৩ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার (আইও) আবেদনের প্রেক্ষিতে মিতু-বাবুল দম্পতির দুই সন্তানকে ১৫ দিনের মধ্যে আইও’র কাছে হাজির করতে বাবুলের বাবা আব্দুল ওয়াদুদু মিয়া ও ভাই হাবিবুর রহমান লাবুকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
বাবুলের পরিবার মাগুরা পৌর সদরের কাউন্সিলর পাড়ার বাসিন্দা। সেখানেই এই দম্পত্তির দুই সন্তান থাকে।
সেই আদেশের পর চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন বাবুলের ভাই লাবু। পরে তা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ শুনানির জন্য পাঠানো হয়।
গত সোমবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস আরা এ বিষয়ে আংশিক শুনানি করেন। পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয় বুধবার।
আদালতে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মিতু-বাবুলের দুই সন্তান মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো ট্রমাটাইজড (আতঙ্কগ্রস্ত)। ঘটনার সময় তাদের বয়স ছিল ৭ বছর ও ৩ বছর। বর্তমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে তাদের চট্টগ্রামে আনা সম্ভব নয়। মাগুরা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে।
এছাড়া শিশু আইন অনুসারে দুই শিশুকে জিজ্ঞাসাবদ করতেও আবেদন জানানো হয়।
এরআগে ১৩ জুন মামলার আইও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা আদালতে আবেদন করেন খুন হওয়া মিতু ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল দম্পতির দুই সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির করতে।
মিতুর দুই সন্তানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
বাবুল-মিতু দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে ছেলেটি (১২) মিতু খুনের সময় মায়ের সাথেই ছিল। আর মেয়েটি (৭) তখন ঘটনাস্থলের অদূরের বাসায় ছিল।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে।
পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল। তার ঠিক আগেই চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন তিনি।
সবশেষ মে মাসে এই মামলার তদন্ত নতুন মোড় নিলে বাবুল বাদী থেকে আসামীতে পরিণত হন। গ্রেপ্তারের পর এখন তিনি কারগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন
মিতু-বাবুল দম্পতির সন্তানদের শিশু আইনে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন
বাবুল আক্তারের ছেলে-মেয়েকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির করার নির্দেশ
নাতি-নাতনীকে নিজের কাছে রাখতে চান বাবুল আক্তারের শ্বশুর
মিতুর হত্যাকারীদের ‘কয়েক দফা টাকা দেন’ বাবুল আক্তার: পিবিআই
জবানবন্দি দিলেন না বাবুল, কেন?
-
চট্টগ্রাম নগরসংস্থার কর্মকর্তার মৃত্যু
-
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলাকে ‘নৌকার ঘাঁটি’ দেখতে চান পরশ
-
চট্টগ্রামে চার স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ
-
জলাবদ্ধতা: সিসিসি ‘বিপদ’ দেখছে, সিডিএ দিচ্ছে আশা
-
ডগ স্কোয়াড: বিদেশে প্রশিক্ষণে গিয়ে ‘নিখোঁজ’ দুই পুলিশ
-
পদ্মা সেতুতে ‘বাড়তি ব্যয়’ দেখানোর দাবি আমীর খসরুর
-
‘ডাকাত আখ্যা দিয়ে’ র্যাব পেটানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৩
-
‘স্বর্গ পেতে’ বন্ধুকে হত্যা, চট্টগ্রামে একজনের মৃত্যুদণ্ড
-
চট্টগ্রাম নগরসংস্থার কর্মকর্তার মৃত্যু
-
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলাকে ‘নৌকার ঘাঁটি’ দেখতে চান পরশ
-
চট্টগ্রামে চার স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ
-
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা: খালের বাঁধে বিপদ দেখছে সিসিসি, সিডিএ দিচ্ছে আশা
-
পদ্মা সেতুতে ‘বাড়তি ব্যয়’ দেখানোর দাবি আমীর খসরুর
-
ডগ স্কোয়াড: বিদেশে প্রশিক্ষণে গিয়ে ‘নিখোঁজ’ দুই পুলিশ
সর্বাধিক পঠিত
- অবিশ্বাস্য পথচলা শেষে শিরোপা হাসি রিয়ালেরই
- ২৫ বছরের চেষ্টা বিফল, বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে কানাডা
- এগিয়ে আসছে রুশ বাহিনী, পূর্বাঞ্চল ছাড়তে পারে ইউক্রেইনীয় সেনারা
- দুর্দান্ত কোর্তোয়া, অবিশ্বাস্য কোর্তোয়া
- ‘৩০ বলে ৩০ রান থেকে ৫০ বলে ৯০ করে ফেলতে পারে বাটলার’
- ‘আর্জেন্টিনার জন্য প্রতিটি মিনিট, ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ’
- ‘ব্যালন ডি’অর জিততে মেসি-রোনালদো হও, নয়তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতো’
- টিভি সূচি (শনিবার, ২৮ মে ২০২২)
- ইতিহাস গড়লেন আনচেলত্তি
- ইউক্রেইনের ‘শত্রু’ তালিকায় উঠল কিসিঞ্জারের নাম