২৭ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এ রকম অনন্য আয়োজন হয়ে আসছে বন্দর নগরে।
Published : 25 Apr 2024, 11:34 PM
চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে সদারঙ্গের ২৭ তম উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সম্মেলন।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে রাগ কলাবতির সুরে তিন দিনের এই আয়োজন শুরু হয়।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন- সুরসম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ এর ভ্রাতুষ্পুত্র ও উস্তাদ আঁয়েত আলী খাঁ এর আত্মজ সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান।
এবারের সম্মেলন উৎসর্গ করা হয়েছে উস্তাদ রশিদ খানকে।
উদ্বোধকের বক্তব্যে শেখ সাদী খান বলেন, “যারা উচ্চাঙ্গ সংগীত চর্চা করেন তাঁরা অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন। তারা কখনও খারাপ হতে পারেন না।
“আমরা যারা সঙ্গীত চর্চা করি, তারা ২৭ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এ রকম অনন্য আয়োজন করার জন্য সদারঙ্গের কাছে ঋণী।”
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল বলেন, “উচ্চাঙ্গ সংগীতের শ্রোতা তুলনামূলক কম হলেও তাদের মান উচ্চমার্গীয়। ঠিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস "শেষের কবিতা’ র মত। এর মূল রস সবাই আস্বাদন করতে পারেন না, যদিও এ উপন্যাসটি নীলক্ষেতসহ সকল জায়গায়ই সহজলভ্য।”
তিনদিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন পর্বের সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর ছিদ্দিকি।
উদ্বোধন পর্বের পর শুরু হয় সম্মেলনের প্রথম দিনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় সদারঙ্গের শিক্ষার্থী সদস্যবৃন্দের সমবেত সম্মেলক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।
পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্ত্তীর রচনা এবং সুরে রাগ কলাবতী রাগে নিবদ্ধ ‘মিতওয়া মোরা আঈ রে...’ বন্দিশটি পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা।
দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় রাজশাহীর আলমগীর পারভেজ সুমনের পটদীপ রাগ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। তারপর তিনি খাম্বাজ রাগে একটি ঠুমরী পরিবেশন করেন।
যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন: তবলায় রাজীব চক্রবর্তী, হারমোনিয়ামে বিটু শীল, তানপুরায় মীর মোহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ সানী এবং পল্লবী বড়ুয়া।
বাঁশিতে রাগ চারুকেশীতে মাতিয়ে রাখেন চট্টগ্রামের রণধীর দাশ। পরে তিনি একটি ধুন পরিবেশন করেন। তবলায় ছিলেন অমিত চৌধুরী দীপ্ত।
রাগ মালকোষ এবং জয়জয়ন্তীতে আসর জমিয়ে তোলেন বর্ষীয়ান সংগীতজ্ঞ পণ্ডিত অসিত কুমার দে। তার দরদি আলাপ, তান ও সরগম উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
শুক্রবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায়। পরিবেশনায় থাকবে: ভায়োলিনিস্টস চট্টগ্রাম এর দলীয় পরিবেশনা, রাজীব দাশ (কণ্ঠ), মাহামুদুল হাসান (বেহালা), পশ্চিমবঙ্গের অর্ঘ্য চক্রবর্ত্তী (কণ্ঠ) ও শামিম জহির (সরোদ)।