একুশের প্রভাত ফেরিকে ‘নিয়মের বেড়াজাল’ থেকে মুক্তি দিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
Published : 21 Feb 2021, 03:18 PM
রোববার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি আশরাফি নিতু ও সাধারণ সম্পাদক গৌরচাঁদ ঠাকুর এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পর থেকে ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এইদিন ভোরে প্রভাত ফেরির মাধ্যমে শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে এই ভূখণ্ডের সর্বস্তরের জনতা, বিশেষত ছাত্র সমাজ।
“কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি একুশের ভোরের প্রভাত ফেরি সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে এবং সেটি প্রশাসনের হাত ধরেই। গতবছর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ শহীদ মিনারে একুশে ফেব্রুয়ারির শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছেন বেলা ১০টায়। শুধু তাই নয় এর আগে প্রভাত ফেরি শেষ করে আসা বিভিন্ন সংগঠনের কাউকেই শহিদবেদীতে ফুল দিতে দেওয়া হয়নি।”
“এর ফলে আবহমানকাল ধরে চলে আসা প্রভাত ফেরি শব্দটি তার যথার্থতা হারাচ্ছে । বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ এই নব্য আমলাতান্ত্রিক চর্চার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে,” বলা হয় বিবৃতিতে।
নেতৃবৃন্দ চবি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অন্য কোনো জাতীয় দিবসে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বিলম্বের জন্য ছাত্র সংগঠন বা অন্যান্য সংগঠনকে যেন দেরিতে ফুল দিতে বাধ্য করা না হয়।
“বিগত বিজয় দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভুল ব্যানার নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ব্যাপক নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে। ভবিষ্যতে জাতীয় দিবসের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে এ ধরনের গাফিলতি ও জোরপূর্বক বিলম্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা মেনে নেবে না।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে সকালে ফুল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। “ভবিষ্যতে তারা যদি প্রভাতে ফুল দিতে চায় তাহলে দিতে পারবে। এখানে তো বাধা দেওয়ার কিছুই নেই।”