খাদ্য ও ঝুঁকিভাতাসহ ১১ দফা দাবিতে সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের তৃতীয় দিনও সারাদেশে নৌপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
Published : 22 Oct 2020, 04:56 PM
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে অচল বসে থাকে প্রায় ৪২টি পণ্যবাহী জাহাজ।এছাড়া চট্টগ্রামসহ সারাদেশের ৩৯ নৌঘাটে পণ্য বোঝাই সোয়া নয়শ’র মতো লাইটারেজ জাহাজ অপেক্ষা করছে।
বহির্নোঙ্গরসহ নৌঘাটগুলোতে কোথাও পণ্য খালাস ও পরিবহন হয়নি, এতে একপ্রকার অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
তবে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে অবস্থানরত জাহাজ থেকে পণ্য খালাস ও কন্টেইনার ওঠানামার কাজ স্বাভাবিক রয়েছে বলে বন্দর সচিব ওমর ফারুক জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে ৪২টি মাদার ভ্যাসেলে পণ্য খালাসের কাজ বন্ধ রয়েছে। সেসব জাহাজে প্রায় ১০ লাখ টনের মতো পণ্য রয়েছে।
বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজগুলো থেকে পণ্য খালাস করা হয় লাইটারেজ জাহাজের মাধ্যমে। পরে লাইটারেজ জাহাজগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পণ্য পৌঁছে দেয়।
ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) হিসাবব অনুযায়ী, চট্টগ্রামের ১৬টিসহ সারাদেশের ৩৯টি ঘাটে ৯২৫টি জাহাজ ১২ লাখ টনের মতো পণ্য নিয়ে অলস বসে আছে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন শ্রমিকরা সোমবার মধ্য রাত থেকে সারাদেশে ধর্মঘট শুরু করে। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি নবী আলম বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের মৌলিক দাবিগুলো মানার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে না, ততক্ষণ আমাদের ধর্মঘট চলবে।”
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান শ্রমিক প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী এবং জাহাজ মালিকদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছেন।