জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় দলে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে সতর্ক থাকার আওয়াজ উঠেছে।
Published : 12 Aug 2020, 09:28 PM
নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী বুধবারের এই সভায় বলেন, “দলে অনেক অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছে। এই দায় আমাদের উপরও কিছুটা বর্তায়। কারণ আমরাও তাদের কেউ না কেউ আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছি। এরা এখন দলের জন্য হুমকি এবং বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল বলেন, “এ অনুপ্রবেশকারীদের কবল থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে না পারলে নিজেদের বিপদ আসন্ন। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে খোন্দকার মোশতাকরা আবারো যে কোনো সময় ফণা তুলতে পারে। দলে বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে। সেই দিকটা আমাদের ভাবতে হবে এবং আমাদের সর্তক থাকতে হবে।”
সভায় নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ৭১’র পরাজিত শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হয়।
নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, “তখন কেউ বিশ্বাস করেনি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ১৫ আগস্টের খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে।
“কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা জানে না আওয়ামী লীগ এমন একটি সংগঠন গ্রীক পুরাণের ফিনিক্স পাখির মত আগুনে পুড়ে ছাই ভস্ম হয়েও আবার প্রাণ ফিরে পেতে পারে। সেটাই প্রমাণ করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই আমাদের হারাবার কিছুই নেই। আওয়ামী লীগের ইতিহাস জয় করার ইতিহাস।”
সভায় জাতীয় শোক দিবস, ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ এবং ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ নিহতদের স্মরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর কমিটির সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সুনীল কুমার সরকার, এম জহিরুল আলম দোভাষ ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলম, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো হোসেন প্রমুখ।