বাকলিয়ায় তরুণী খুনের সন্দেহভাজন যুবক গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে ভাইকে না পেয়ে ঘরে ঢুকে বোনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার সকালে নগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে  মো. মামুন (২৪) নামের এ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় মামুনের নাম না থাকলেও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে মামুনকে কিরিচ হাতে ওই এলাকায় দেখা গেছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি বলেন, “হত্যাকাণ্ডের পরপরই মামুন পালিয়ে পাবনা চলে গিয়েছিল। সেখানে বেশ কিছুদিন অবস্থানের পর শনিবার চট্টগ্রামে আসে।

ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চান্দগাঁও এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি নেজাম।

গত ১১ মে রাতে বাকলিয়ার বলিরহাট বজ্রঘোনা এলাকায় মদিনা মসজিদের পাশে এক বাড়িতে ঢুকে বুবলি আক্তার নামে ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

পরে পুলিশ জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুবলিদের বাড়িতে হামলা করেছিল স্থানীয় কয়েকজন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বুবলির ভাই রুবেলকে হত্যা করা। শ্বশুড়বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা বুবলি ওই সময় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন।

বুবলির বাবা নোয়া মিয়া ওই দিন রাতে বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় শাহ আলম, তার ভাই নূর আলম, নবী হোসেন, মো. জাবেদ, মো. মুছা ও আহমদ কবিরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

তাদের মধ্যে প্রধান আসামি শাহ আলম ওই রাতেই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। শাহ আলমের ছোট ভাই নূর আলম ও তাদের সহযোগী নবী হোসেন, আহমদ কবির ও মুছাকে পুলিশ  গ্রেপ্তার করেছে।

ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল বোনের

খুনের রাতেই আসামি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত