নিজেদের দুই কর্মীর উপর হামলার পর অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ।
Published : 01 Dec 2019, 10:19 PM
রোববার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের দুই কর্মীর উপর হামলার বিচার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের এ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল।
তিনি বলেন, ‘তাপস স্মৃতি পরিষদ-এর দুই নেতার উপর হামলার বিচার দাবিতে ও হামলায় মদদদাতা ছাত্র উপদেষ্টা সিরাজ উদ দৌল্লার পদত্যাগ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ডাকা হয়েছে।”
ছাত্রলীগের অবরোধ আহ্বানকারী অংশের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এসময় জিরো পয়েন্টে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
ভাংচুরের শিকার হয় পুলিশের পাঁচটি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির ব্যবহৃত একটি গাড়ি।
ঘটনার সূত্রপাত রোববার সন্ধ্যায় ক্যম্পাসের বাইরে হাটহাজারী এগার মাইল এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ‘চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার’ (সিএফসি) এর দুই কর্মীর ওপর হামলার পর।
সিএফসি ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
হামলায় আহত দুজন হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুমন নাছির এবং ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আল নাহিয়ান রাফি। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হামলার জন্য সিএফসি গ্রুপ শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক আরেক পক্ষ ‘ভার্সিটি এক্সপ্রেস’(ভিএক্স) এর কর্মীদের দায়ী করছে।
ওই হামলার খবর ক্যাম্পাসে পৌঁছালে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে সিএফসি ও ভিএক্স এর কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ঘটে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই পক্ষে মারামারি হয়। তারপর শুক্রবার রাতেও এ দুই পক্ষের মারামারিতে পাঁচ জন আহত হয়।
এই ঘটনার জের ধরে ভিএক্স গ্রুপের নেতাকর্মীরা সিএফসি গ্রুপের দুই নেতার উপর হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল।
ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের আগের কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিএফসির নেতা কর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। আজকে হাটহাজারীতে তাদের কর্মীর উপর কে বা কারা হামলা চালালে ঘটনাটি আমাদের কর্মীর উপর চাপিয়ে দিয়ে সিএফসি ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে।”
বিপুল বলেন, “ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল দায়ী।”
চট্টগ্রাম উত্তর জেলার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত) মশিউর দৌলা রেজা সাংবাদিকদের বলেন, “আগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ দুই পক্ষ ঝামেলা করতে চাইলে জল কামান ও চার রাউন্ড টিয়ারসেল ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে।”
গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় মামলা করা হবে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে শনিবার রাতে চারটি হলে তল্লাশি চালিয়ে রামদা, লোহার রড ও পাথর উদ্ধার করেছিল পুলিশ।