গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা-কর্মীদের রিমান্ডে চায় পুলিশ

চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়িতে পুলিশের উপর ‘হামলার’ ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাকর্মীদের রিমান্ডে চায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে এ আবেদন করা হয়।

তবে এ বিষয়ে কোনো শুনানি হয়নি। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

বুধবার বিকেলে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের পর রাতে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা হয়।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামিদের প্রত্যেককে সাত দিন রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।”

বুধবার বিকেল ৩টার দিকে উত্তর জেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে নগর বিএনপির কার্যালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়ে ছে।

তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, পুলিশের সঙ্গে বাক বিতণ্ডা হলেও হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রাঙ্গুনিয়া থানা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জামাল উদ্দিন, উত্তর জেলা যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, বাবুল আলম ও জামালখান ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল।

এছাড়াও যুবদলকর্মী শাজাহান সিকদার ও মোহাম্মদ ফোরকান, ছাত্রদলের কর্মী আলী নুর তালুকদার মনি, বিএনপির কর্মী ফজলুল হক, আবদুল মামুন, ফারুক, আবদুল্লাহ, আবু তৈয়ব, মাজহারুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম মঙ্গল গ্রেপ্তার হন।

হামলায় কোতোয়ালি থানার এসআই আবু কালাম এবং কনস্টেবল মনজুরুল আলম ও আলমগীর হোসেন অহত হন বলে পুলিশের দাবি।

পুলিশের ওপর ‘হামলা’, বিএনপি-যুবদলের ১৫ জন গ্রেপ্তার