বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ওই হামলার ঘটনায় নিজেদের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশের দাবি।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিন বাহারসহ বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মী আছেন।
গ্রেপ্তার অন্যদের মধ্যে আছেন- রাঙ্গুনিয়া থানা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জামাল উদ্দিন, উত্তর জেলা যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, বাবুল আলম ও জামালখান ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল।
এছাড়াও যুবদলকর্মী শাজাহান সিকদার ও মোহাম্মদ ফোরকান, ছাত্রদলের কর্মী আলী নুর তালুকদার মনি, বিএনপির কর্মী ফজলুল হক, আবদুল মামুন, ফারুক, আবদুল্লাহ, আবু তৈয়ব, মাজহারুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম মঙ্গল গ্রেপ্তার হন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, কাজীর দেউড়ি মোড়ে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে উত্তর জেলা বিএনপির একাংশ।
তারা কাজীর দেউড়ি মোড়ে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে অদূরে নুর মোহাম্মদ সড়কে নাসিমন ভবনস্থ নগর বিএনপির কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তাদের সাথে পুলিশের বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিও হয়।
কোতোয়ালী থানার ওসি মো. মহসীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কাজীর দেউড়ি মোড়ের কর্মসূচি থেকে তারা অর্তকিতে লাঠি, ইট-পাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে।
“এতে আমাদের তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।”
আহতরা হলেন- কোতোয়ালী থানার এসআই আবু কালাম এবং কনস্টেবল মনজুরুল আলম ও আলমগীর হোসেন।
ঘটনার বিষয়ে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন বলেন, “অসুস্থ থাকায় বিকালের অনুষ্ঠানে আমি যাইনি। কী হয়েছে বলতে পারছি না। তবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুনেছি।”
নগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, “উত্তর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের সাথে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। হামলার কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই।”