সরকার গত এক দশকে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও গ্রহণ করেছে, তা জনগণকে জানাতেই মাঠ পর্যায়ে উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
Published : 04 Oct 2018, 09:22 PM
চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
তিনি বলেন, এক দশকে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ সড়ক যোগাযোগ, খাদ্য, সামরিক-বেসামরিক, তথ্য প্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন ও সেবা খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে সাক্ষরতার হার ও মাথাপিছু আয়। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইন-১ উৎক্ষেপণ হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৮ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে তা হবে ২৪ হাজার মেগাওয়াট।
কায়কাউস বলেন, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ, ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার নির্মাণসহ আরো বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ আজ দৃশ্যমান। মিরসরাইয়ে ৩০ হাজার একর জায়গার উপর গড়ে তোলা হচ্ছে ইকোনমিক জোন। এখানে প্রায় দশ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।
“দেশের অনেক মানুষ সরকারের উন্নয়ন সম্পর্কে জানে না। মাঠ পর্যায়ে সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়ন ও নীতি নির্ধারণী বিষয়গুলো জনগণের কাছে তুলে ধরতে সারাদেশে একযোগে জাতীয় উন্নয়ন মেলার আয়োজন,” বলেন তিনি।
সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সাথে বাংলাদেশ টেলিভিশনে সংযুক্ত হয়ে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবুর রহমান, পিপিএম, জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের নির্বাহী পরিচালক এসএম রবিউল হাসান প্রমুখ।
উন্নয়ন মেলার প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন জেলা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর স্টলে।
ব্যুরোর সহকারী পরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, নিয়মিত সেবার পাশাপাশি বিদেশীগামী কর্মীদের নাম ডাটা বেজে নিবন্ধন, বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার ইমপ্রেশান (আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণ এবং বিদেশ গমন সংক্রান্ত সকল তথ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
তিন দিনের মেলায় জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, নগর ও জেলা পুলিশ, তথ্য অফিস, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদফতর, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ ১২০টি প্রতিষ্ঠানের ১৭০টি স্টল আছে।