বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যার বিচারের দাবিতে অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তার বাবা গোলাম মাওলা।
Published : 03 Aug 2018, 05:37 PM
শুক্রবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিটি গেট সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে এই ঘোষণা দেন তিনি।
গোলাম মাওলা বলেন, “প্রধানমন্ত্রীও স্বজন হারিয়েছেন। তিনি স্বজন হারানোর বেদনা বোঝেন।
“আমাদের কষ্টের কথা জানাতে চাই উনাকে। আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর দেখা পাব আমরা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উনার দেখা না পেলে সন্তান হত্যার দ্রুত বিচার পেতে যাব আমরণ অনশনে। ছেলের সাথে কবরে যাব আমরাও।”
সড়ক অবরোধ করে সকাল ১১টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই কর্মসূচির কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে অংশগ্রহণকারীরা সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পায়েলের মৃত্যুর পর থেকেই সংগঠনটি নানা কর্মসূচি পালন করছে।
নিহত পায়েলের পরিবার সন্দ্বীপের স্থায়ী বাসিন্দা। তারা নগরীর হালিশহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করে।
মানববন্ধনে হালিশহরের বাসিন্দা, পায়েলের সহপাঠি ও বন্ধু এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
সাংবাদিক সারোয়ার সুমনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অংশ নেন পায়েলের ভাই গোলাম মোস্তফা, মামা কামরুজ্জামান চৌধুরী টিটু, গোলাম রসালে চৌধুরী ও ফাহাদ চৌধুরী দিপু, উত্তর পাহাড়তলি ওয়ার্ডের কাউসিন্সলর জহুরুল আলম জসিম, দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এস এম ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ রিপন, যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউল হাসান শিবলু প্রমুখ।
গত ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিনের সঙ্গে হানিফ পরিবহনের ভলভো বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন পায়েল। পরে মুন্সিগঞ্জের ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে পায়েলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
হানিফ পরিবহনের ওই বাসের চালকসহ তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলেছে, তারা দুর্ঘটনায় দায় এড়াতে বাসের দরজার ধাক্কায় জ্ঞান হারানো পায়েলকে খালে ফেলে দিয়েছিলেন।