চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবিরের দুই শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে পর্যটন করপোরেশনের একটি মোটেল থেকে মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির ও ইসলামী ছাত্র শিবির মহানগর দক্ষিণের সভাপতিসহ ২১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2018, 04:45 PM
Updated : 24 June 2018, 05:29 AM

শনিবার রাতে নগরীর স্টেশন রোডের মোটেল সৈকতে অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয় বলে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসাইন জানান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোটেল সৈকতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

পরে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আটক ২১০ জনকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার নেতাদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত ইসলামীর আমির আ জ ম ওবায়দুল্লাহ, ইসলামী ছাত্র শিবির মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল হাসান লদি, সেক্রেটারি ইমরানুল হকসহ কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা আছে।

মহসিন বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, রফিকুল হাসান লদি সিলেটের বাসিন্দা হলেও সাংগঠনিক দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছেন।”

উপ-কমিশনার মোস্তাইন হোসাইন রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ঈদ পুনর্মিলনীর নামে ওই মোটেলে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু তারা পুলিশের কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেননি।

ওসি মহসিন বলেন, ‘পারাবার’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহানগর দক্ষিণের শিবির নেতারা। সংগঠনটি ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সাংস্কৃতিক শাখা। শিবিরের যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা সবাই সদস্য ও সাথী পর্যায়ের নেতা।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ইসলামী ছাত্র শিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতারা শনিবার ঈদ পুনর্মিলনীর নামে আলাদাভাবে দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। উত্তরের সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ শাহজাহান।

মোটেল সৈকতে দক্ষিণের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের নগর কমিটিরর নায়েবে আমির ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আ জ ম ওবায়দুল্লাহ।

পুলিশ বলছে, ঈদ পুনর্মিলনী বলা হলেও মূলত আয়োজন দুটি ছিল সংগঠনের বৈঠক। অনুমতি ছাড়া এ ধরনের রাজনৈতিক জমায়েত করায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।