চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় এক বাড়িতে চার নারী ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদ্য মামলার তদন্তভার পাওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
Published : 26 Dec 2017, 04:44 PM
মিজান মাতব্বর (৪৫) নামের ওই ব্যক্তি মঙ্গলবার বিকালে পঞ্চম মহানগর হাকিম আল ইমরান খানের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবউদ্দিন আহমেদ।
মিজানসহ এ মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পিবিআইর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বিডিনিউজ টেয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার রাতে নগরীর ইপিজেড থানার মাইলের মাথা এলাকা থেকে মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পিবিআই চট্টগ্রাম নগর আঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন জানান, জবানবন্দিতে মিজান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি এ ঘটনার সাথে পাঁচজন জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং অপর একজন আমাদের আয়ত্তে আছে। তাকে যেকোনো সময় ধরা হবে।”
এছাড়াও জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন।
এদিকে একই মামলায় সকালে ইমতিয়াজ উদ্দিন বাপ্পী নামে অপর একজনকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
তবে বাপ্পী অসুস্থ থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাকিম আল ইমরান খান।
পুলিশ কর্মকর্তা শাহাবউদ্দিন বলেন, “এখন মামলার তদন্তভার পিবিআইর কাছে চলে যাওয়ায় তারা বাপ্পীর রিমান্ড আবেদন করলে পরে শুনানি হবে।”
মঙ্গলবার সদর দপ্তরের নির্দেশে কর্ণফুলী থানা পুলিশের কাছ থেকে মামলার তদন্তভার নেয় পিবিআই।
গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের এক বাড়িতে ডাকাতির সময় তিন প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের এক বোনকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার নারীরা ঘটনার পরদিন মামলা করতে গেলে ঠিকানা জটিলতার কথা বলে মামলা নিতে গড়িমসি করে পুলিশ।
পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হস্তক্ষেপে পাঁচ দিন পর মামলা নেয় পুলিশ।