চার নারী ধর্ষণ মামলার তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে

চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর চার নারী ধর্ষণ মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন -পিবিআই।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Dec 2017, 08:06 AM
Updated : 26 Dec 2017, 08:10 AM

পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “থানা পুলিশের কাছ থেকে আমরা মামলার দায়িত্ব নিয়েছি।”

কর্ণফুলী থানা পুলিশ ওই মামলা নিতে গড়িমসি করার পর আসামি গ্রেপ্তারেও গাফিলতি করছে বলে অভিযোগ আসার প্রেক্ষাপটে তদন্তের দায়িত্বে এই পরিবর্তন এল।   

মামলা নিতে বিলম্বের ক্ষেত্রে পুলিশের ‘আংশিক ব্যর্থতা’ ছিল বলে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করে নেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) হারুণ উর রশিদ হাযারি।

গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের এক বাড়িতে ডাকাতির সময় তিন প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের এক বোনকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের শিকার নারীরা ঘটনার পরদিন মামলা করতে গেলে ঠিকানা জটিলতার কথা বলে মামলা নিতে গড়িমসি করে পুলিশ।

পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হস্তক্ষেপে পাঁচ দিন পর মামলা নেয় পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে।

মামলা নিতে বিলম্ব এবং ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে গড়িমসির অভিযোগে কর্ণফুলী থানার ওসি ওসি সৈয়দুল মোস্তফাকে প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর মানববন্ধন করে নারী উন্নয়ন ফোরাম নামের স্থানীয় একটি সংগঠন।

সংগঠনটির অভিযোগ, অনেক তালবাহানা শেষে পুলিশ মামলা নিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ না করে ‘অযথা সময়ক্ষেপণ’ করছে।

ধর্ষকদের সবাইকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আগামী ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনরের কার্যালয় এবং পরদিন কর্ণফুলী থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচিও রয়েছে সংগঠনটির।