ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় তেল বিপণন কোম্পানি পদ্মা অয়েল লিমিটেডের সাবেক এমডি মো. আবুল খায়ের।
Published : 05 Oct 2017, 07:51 PM
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. শাহে নুরের আদালত থেকে জামিন পান তিনি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনই জামিনে আছেন।
“এ বিষয়টি উল্লেখের পাশাপাশি আবুল খায়েরের আইনজীবী জানান তার দুই বার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। এ দুটি বিষয় বিবেচনা করে আদালত শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেছেন।”
তবে দুদকের করা অন্য একটি মামলায় এখনো আবুল খায়ের জামিন পাননি বলে জানান আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানের বাসা থেকে আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গ্রেপ্তারের দুই সপ্তাহ আগে আরেক রাষ্ট্রীয় তেল বিপণন কোম্পানি যমুনা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে অবসরোত্তর ছুটিতে গিয়েছিলেন।
গ্রেপ্তারের দিন থেকেই কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি।
এরমধ্যে খুলনার দৌলতপুরে পদ্মা অয়েলের তিন তলা অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পদ্মা অয়েলের ডিজিএম ও প্রকল্প পরিচালক মো. নুরুল আমিন, প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা কে এম আবদুর রহিম ও উপ-ব্যবস্থাপক সালেহীন আহমেদ আক্কাস এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মো. ইউনূস অ্যান্ড কোং এর মালিক আনিসুর রহমান।
মামলা হওয়ার পর ঠিকাদার দুই কিস্তিতে পে অর্ডারে মাধ্যমে পদ্মা অয়েল লিমিটেড বরাবরে ৩২ লাখ টাকা ফিরিয়ে দেন।
প্রথম কিস্তির ১৭ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে আবুল খায়ের ছাড়া অন্য চার আসামি আদালত থেকে ২৩ মে জামিন নেন।
দুদকের করা অন্য মামলাটি হলো- পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ‘জেট ফুয়েল হাইড্রেন্ট লাইন’ নির্মাণ প্রকল্পের ২ কোটি ৭৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬২২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে।
এই মামলায়ও আসামি পদ্মা অয়েলের সাবেক এমডি আবুল খায়ের।