“মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাজু ও নোমানের নেতৃত্বে ৭-৮জন কিশোর গ্যাং সদস্য, রাস্তায় তার গতিরোধ করে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে দেয়।”
Published : 07 May 2024, 03:33 PM
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শ্রেণি কক্ষে ঢুকে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় একজন শিক্ষককে পিটিয়ে তার দুই হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
রোববার বিকালে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজারের পূর্ব পাশে ওই শিক্ষকের ওপর হামলা হয়। একইদিন বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে উত্যক্ত করার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ৩৪ বছর বয়সী শিক্ষক মো. হাসান মুছাপুর ওই মাদ্রাসার শিক্ষক। তাকে জেলা শহরের জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় অভিযোগের মুখে রয়েছেন মো. রাজু (২৪) ও আবু নোমান (২৫) নামে স্থানীয় দুই যুবক।
ঘটনার বর্ণনায় জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, “রোববার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় বখাটে মো. রাজু মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করতে ষষ্ঠ শেণির কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় ওই ছাত্রী তার ভয়ে বেঞ্চের নিচে লুকিয়ে যায়।
“খবর পেয়ে মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষক মো. সোহেল এগিয়ে আসলে রাজু ও তার সঙ্গীরা ওই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে। পরে শিক্ষক মো. হাসান বখাটেদের মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কাছে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিততে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।”
তিনি বলেন, “এর জেরে বিকাল ৫টার দিকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাজু ও নোমানের নেতৃত্বে ৭-৮জন কিশোর গ্যাং সদস্য, রাস্তায় তার গতিরোধ করে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে দেয়।”
হামলার শিকার শিক্ষকের শাশুড়ি বিবি খাদিজা ও শ্বশুর মো. সাহাব উদ্দিন জানান, শিক্ষক মো. সোহেলকে বর্তমানে জেলা শহরের জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের অর্থোপেডিক চিকিৎসক আবদুর রহমান বলেন, “ওই শিক্ষকের দুটি হাত ভেঙে গেছে। সোমবার রাতে জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার অস্ত্রপচার হয়।
“ওই শিক্ষকের এক হাতে অপারেশন করে পাত বসানো হয়েছে; অন্য হাতে প্লাস্টার করা হয়েছে।”
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকের পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।