চার বছর পর থেকে চট্টগ্রাম নগরবাসীকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা পানি সরবরাহের আশা দেখাচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
Published : 01 Dec 2016, 05:56 PM
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ওয়াসার চলমান ‘কর্ণফুলি পানি সরবরাহ প্রকল্পের’ (সিডব্লিউএসপি) প্রথম পর্যায়ের সম্পন্ন কাজ পরিদর্শনে নিয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের এ আশার কথা জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ।
তিনি বলেন, নগরবাসীকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানদণ্ড মেনে পানি সরবরাহ করবে ওয়াসা। এ পানি সরাসরি টেপ থেকে খাওয়ার যোগ্য।
“এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প শেষ হলে পাওয়া যাবে আরও ১৪ কোটি লিটার। আর মদুনাঘাট পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পাব নয় কোটি লিটার।”
এসব প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের মধ্যে শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে ২০৪০ সাল পর্যন্ত নগরবাসীকে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যাবে।”
নগরবাসীর ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদা মেটাতে জাইকার অর্থায়নে ২০০৬ সালে এ প্রকল্প হাতে নেয় চট্টগ্রাম ওয়াসা। ২০১২ সালের মধ্যে এ প্রকল্প শেষ করার কথা থাকলেও ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতায় কাজ শুরু হয় ২০১০ সালে।
স্থানীয় সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজী, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা জটিলতায় তিন দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে অবশেষে চলতি বছরের নভেম্বরে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করে ওয়াসা।
কর্ণফুলি পানি সরবরাহ প্রকল্পের তিন পর্যায়ের কাজ সমাপ্ত হলে সবগুলো গভীর নলকূপ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
ফলে ভূগর্ভস্থ মাটির স্তরের ভারসাম্য বজায় থাকবে বলেও আশাবাদ তার।
“ওয়াসার পুরনো পিভিসি বি-ক্লাস পাইপ লাইনের কারণে প্রথম পর্যায়ে সম্পন্ন প্রকল্পের পুরো সুবিধা পেতে নগরবাসীকে আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। বিশ্বমানের পাইপ লাইন নির্মাণে চীনের সাথে চুক্তি হয়ে গেছে। কাজ শেষ হলে প্রকল্পের পুরো সুবিধা পাবে নগরবাসী।”
“পানির বাজারে বোতলজাত পানি নিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে আমাদের। বাজারে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি আসলে বোতলজাত পানির বিদ্যমান যে দাম সেটা কমে যাবে।”
পরিদর্শন দলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রকৌশল) রতন কুমার সরকার, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) মো. গোলাম হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী জহুরুল হক।