চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দীর্ঘদিন সঙ্গীহীন জীবনের পর সাথী মিলছে দুই সিংহী ‘বর্ষা’ ও ‘নোভা’র।
Published : 15 Aug 2016, 08:32 PM
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তাদের একাকী জীবনের অবসান ঘটবে বলে আশা করছেন চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা। তবে এজন্য নোভাকে ছেড়ে যেতে হবে বর্ষার।
নতুন সঙ্গীর জন্যই কিছুদিনের মধ্যে জন্মস্থান চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ছেড়ে বর্ষা চলে যাবে রংপুরে নতুন সঙ্গীর কাছে। বর্ষা গেলে রংপুর থেকে আসবে নতুন পুরুষ সিংহ।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর মঞ্জুর মোর্শেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রংপুর চিড়িয়াখানা থেকে চট্টগ্রামে আনা হচ্ছে নতুন একটি সিংহ। তার পরিবর্তে চট্টগ্রাম থেকে একটি সিংহী দেওয়া হবে রংপুর চিড়িয়াখানায়।
কোরবানির ঈদের আগেই চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় সিংহটি আসতে পারে বলে জানান তিনি।
মোর্শেদ বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় কোনো সিংহ এবং রংপুর চিড়িয়াখানায় কোনো সিংহী নেই। তাই দুই চিড়িয়াখানার মধ্যে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দুটি সিংহীর একটির নাম বর্ষা, অন্যটি নোভা; ২০০৫ সালের ১৬ জুন এ চিড়িয়াখানতেই তাদের জন্ম। তাদের জন্মের কিছুদিন পর মা ‘লক্ষী’ ও ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাবা ‘রাজ’ মারা যায়।
এরপর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আর নতুন কোনো সিংহের পা পড়েনি।
চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা মোর্শেদ বলেন, “আমরা গিয়ে রংপুর চিড়িয়াখানায় সিংহের অবস্থা দেখে এসেছি। সেটার বয়স আনুমানিক ১৩ বছর। আর আমাদের সিংহীগুলোও প্রায় কাছাকাছি বয়সের।”
চিড়িয়াখানার খাঁচা সংস্কারের কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সংস্কার কাজ শেষ হলেই আমরা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করব। ”
‘ইন্ডিয়ান লায়ন’ প্রজাতির সিংহীগুলোর গড় আয়ু ১৫ থেকে ১৬ বছর। সে হিসেবে দুই সিংহী এখন পূর্ণবয়স্ক। কোনো পুরুষ সঙ্গী না থাকায় তাদের বংশবৃদ্ধির সুযোগ হয়নি।
তিনি বলেন, যে কোনো প্রাণী সঙ্গীহীন থাকলে স্বাভাবিক চাঞ্চল্য কমে আসে, অনেক ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দেয়।
নতুন সঙ্গী পেলে তাদের স্বাভাবিক চাঞ্চল্যতার পাশাপাশি আয়ুস্কালও বাড়বে বলে মনে করেন মোর্শেদ।