বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও চট্টগ্রাম চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নুরুল ইসলাম ছুটিতে থাকায় তা হয়নি।
Published : 28 Jul 2016, 01:20 PM
‘জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে’ বিচারক নুরুল ইসলামের ছুটিতে যাওয়ার কথা বুধবারই জানিয়েছিলেন আইনজীবী অনুপম চক্রবর্ত্তী।
বিচারক নুরুল ইসলাম বুধ, বৃহস্পতিবার ছুটিতে থাকবেন, এরপর শুক্র, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি কাটিয়ে রোববার আবার কাজে যোগ দেবেন।
রায় পিছিয়ে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় হিমুর বাবা প্রবীর মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন। সেই পর্যন্ত অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকব। আশা করি ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার পাব।”
এরআগে আসামি পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয় ১৬ জুলাই। ওইদিনই ২৮ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।
গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ এক মাসে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করলেও আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপনে প্রায় নয় মাস সময় নেয়।
গত বছরের ১৪ অক্টোবর ও এ বছরের ৩০ জুন আদালতে বাজিয়ে শোনানো হয় মৃত্যুর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেওয়া হিমুর বক্তব্যের রেকর্ড।
২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় টিপুর বাড়ির ছাদ থেকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে ও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয় শিক্ষার্থী হিমুকে।
আহত অবস্থায় ২৬ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর ২৩ মে তার মৃত্যু হয়।
হিমু খুনের ঘটনায় তার মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পুলিশ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
আসামিরা হলেন- জাহিদুর রহমান শাওন, জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ, তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, শাহাদাত হোসেন সাজু ও মাহবুব আলী ড্যানি।
এদের মধ্যে টিপু ও সাজু জামিনে আছেন। শাওন জামিন নিয়ে এবং রিয়াদ শুরু থেকেই পলাতক। শুধু ড্যানি কারাগারে আছেন।
অভিযোগপত্র দেয়ার প্রায় দেড় বছর পর অভিযোগ গঠনের শুনানি চারবার পিছিয়ে ২০১৪ সালের বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।